বান্দরবান প্রতিনিধি : স্বামী-সন্তানসহ একই পরিবারের ৪ জনকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী নূর নাহার। রবিবার পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় নূর নাহারকে।

সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, নিহত মোহাম্মদ আমীন তিনটি বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর মতো তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও বনিবনা হতো না তার। স্ত্রীর ভরণপোষণ নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে আমীনের বাকবিতণ্ডা এবং হামলার ঘটনাও ঘটে। কিছুদিন আগে ঝগড়া চলাকালে আমীনের দায়ের কোপে শ্বশুরের একটি আঙ্গুল কেটে যায়। এ সময় স্ত্রীর হাতেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন তিনি। তৃতীয় স্ত্রীর শিশু পুত্র দুলুকে মায়ের কাছে না দিয়ে নিজের কাছে জোর করে রেখে দেন তিনি। পারিবারিক কলহের জেরেই ভাইদের সঙ্গে নিয়ে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন নূর নাহার।

তিনি জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। এদিকে শনিবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে নূর নাহারকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাকে বিকেলে আদালতে নেওয়া হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

হত্যা মামলার বাদী নিহত বেগম বাহারের ছেলে শফি আলম বলেন, ‘আমার মামার (নিহত আমীন) তৃতীয় স্ত্রী নূর নাহার, তার ভাই আব্দুল মোনাফ, নূরুল আমীন এবং আব্দুর শুক্কুর এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। হত্যার আগের দিনও ঘটনাস্থল ক্যায়ামলং এলাকায় হত্যাকারীদের ঘোরাফেরা করতে দেখেছে স্থানীয়রা।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়ের ক্যায়ামলং এলাকায় আবদুল মোতালেব নামে এক ব্যক্তির বাগান বাড়িতে কেয়ারটেকারসহ একই পরিবারের চারজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

নিহতরা হলেন- বাগানের কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আমীন (৪০), তার ছেলে জুনায়েদ (১২), বড় বোন বেগম বাহার (৪৫) এবং তার ছেলে ইলিয়াছ (৫)।

(ওএস/এসআইএস/মে ৩১, ২০১৫)