সৈয়দ নাসরুল ইসলাম (আনম) : বাংলাদেশ বাঙালি জাতির একটি প্রতিকী রাষ্ট্র। সমস্ত বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষের বাংলা চর্চার প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ নামক এই স্বাধীন রাষ্ট্রটি। যার একটা বিশাল ইতিহাস ও ঐতিহ্যও রয়েছে।

১৯৫২ সাল, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছিল আমাদের এই মাতৃভাষা। ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে গিয়ে অসংখ্য কমল প্রাণের তাজা রক্তে সেদিন রঙিন হয়ে গিয়েছিল ঢাকার রাজপথ। মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার প্রতি কোনো জাতির এমন আত্মত্যাগ গোটা বিশ্বের সকল মানুষকে সেদিন অবাক করেছিল যার স্বীকৃতি স্বরূপ সারা বিশ্বের সকল মানুষ আজও ঐ দিনটিকে(২১ ফেব্রুয়ারি) তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। আর ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা সংগ্রামের সূত্রপাত ও স্বাধীনতা অর্জন এবং বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম যা সারা বিশ্বের সকল বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষের আবেগ-অনুভূতি ও সাহিত্য সাধনার প্রাণকেন্দ্র। অথচ পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য যে, ভাষা আন্দোলনের ৬২ বছর কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামের ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের এই প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি আজও নিরক্ষরতার বেড়াজালে নিমজ্জিত। তাই বলা যেতেই পারে ভাষা আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ৬২ বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

এর অন্তরায় হচ্ছে বয়স্কদের শিক্ষার আওতায় আনতে না পারা, শিশু-কিশোরদের স্কুল বান্ধব করতে না পারা, জটিল পাঠ দান পদ্ধতি, বাংলা শিক্ষার অবৈজ্ঞানিক জটিল পাঠ্যক্রম, অনেক বড় বড় নিরস বই প্রভৃতি অন্যতম।

এই উপলব্ধি থেকে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. আহসানুল হক উদ্ভাবন করেছেন একটি নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। যার মাধ্যমে যেকোনো বয়সের একজন ছাত্র (শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বণিতা, আবাল) নিয়মিত ক্লাসে না গিয়েও ঘরে বসে বা প্রথাগত শিক্ষকের কাছে পাঠ না নিয়ে, অতি দ্রুত ও খুব সহজে বিজ্ঞান সম্মত কার্যকর পদ্ধতির মাধ্যমে পড়ালেখা শিখতে পারবে।

তিনি তার এই শিক্ষা পদ্ধতিকে মোট ১২ টি পাঠে ভাগ করেন। যাতে তিনটি ব্যঞ্জনবর্ণ, একটি স্বরবর্ণ এবং একটি স্বরধ্বনি নিয়ে পাঁচটির একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন। যার প্রথম পাঠটিতে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে ক, ল, ম, আ এবং আ-কার। যা দিয়ে অনেক গুলো শব্দ তৈরি করা যায়। যেমনঃ কল, কলম, কমলা, কম, কমল, আম, মা, মামা, কাকা, মালা, কলা, কাক, কালা, কাল, মাল, লাল, আকাল, মাকাল, আমল, আমলা, মামলা, কামলা, কলকল ইত্যাদি। এভাবে এই পাঁচটি ধ্বনি দিয়ে অন্তত দশটি মানুষের নাম যেমনঃ কমল, কালাম, কমল, কমলা, লাল, মালা, কালা, কামাল, আলম, আকমল প্রভৃতি। এছাড়াও বেশ কিছুফলের নাম, রংয়ের নামও আত্নীয়তাবাচক শব্দ শেখা যায়। এভাবে তিনি ১২টি পাঠকে সজ্জিত করে পাঠগ্রহণ পদ্ধতিসম্পন্ন করেছেন।

চলুন এখন জেনে নেয়া যাক এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের শৈশব, শিক্ষা, কর্মজীবন, চিন্তা-চেতনা, ভাবনা উপলব্ধিসহ নানা বিষয় সম্পর্কে-

শৈশব ও শিক্ষা

পাবনা জেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলা) শাহজাদপুরে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড মেডিকেল অফিসার। সাত ভাই ও দুই বোনের বিশাল পরিবারে তিনি ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী। উল্লাপাড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে শাহজাদপুর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি শাহজাদপুর হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন এবং ইস্ট বেঙ্গল সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড থেকে মেট্রিক পরিক্ষায় ৪র্থ স্থান দখল করেন। এরপর তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৫২ সালে আই.এ পাশ করেন এবং ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংলিশে বি.এ অনার্স ও ১৯৫৬ সালে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।

কর্মজীবন

মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করার পরেই তিনি নোয়াখালীর চৌমুহুনী কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। এক বছর পর ১৯৫৭ সালে জগন্নাথ কলেজে অধ্যাপনায় যোগ দেন। সেখানে ৩ বছর অধ্যাপনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং সুদীর্ঘ ৪০বছর সুনামের সহিত অধ্যাপনা করে ২০০১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পিপল’স ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ১২ বছর অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান নিযুক্ত রয়েছেন এই জ্ঞানবীর।

বিভিন্ন সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ডাকসুর ট্রেজারার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, একাডেমিক ও সিনেটের সদস্য ছিলেন।

সংগ্রামী জীবন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা কালীন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক(দুই দফা) এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট(দুই দফা) নির্বাচিত হন।

১৯৫৫ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিলে অংশ গ্রহণ করায় তিনি কারা বরণ করেন। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকা কালীন গ্রেফতার হয়ে দুই মাস কারারুদ্ধ থাকেন।

গণশিক্ষা আন্দোলন

গণশিক্ষা আন্দোলনে জড়িত হন ১৯৯৬ সালে এবং দেশের লোক-আবাল বৃদ্ধ বনিতা যাতে খুব সহজে বাংলা পড়তে ও লিখতে পারে তার জন্য তিনি ‘পড়া শিখি’ নামে একটি প্রাইমার উদ্ভাবন করেন। এর প্রয়োগে দেখা যায় যে, পাঁচ বছর বয়স থেকে যেকোনো বয়সের একজন শিক্ষার্থী ২-৮ সপ্তাহে বাংলা পড়া ও লেখা শিখতে পারে।

বিভিন্ন পর্যায়ে এই প্রাইমারটির প্রয়োগ আরো সুষ্ঠু করার জন্য- ছবি দিয়ে পড়া শিখি, আমি পড়ি, দিনে একটি অক্ষর পড়া শিখি সত্ত্বর নামে প্রায় ৬টি প্রাইমার তৈরি করেন। এর সঙ্গে পুরোনো পদ্ধতির বাংলা শেখানোর প্রাইমারের নবায়ন করে ‘অভিনব আদর্শ লিপি’ নামক প্রাইমার প্রণয়ন করেন। বিদেশীরাও যাতে সহজে বাংলা শিখতে পারে তার জন্য Easy Bangla for Foreigners নামে একটি পুস্তিকা প্রণয়ন করেন। আনুসঙ্গিকভাবে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ শেখার জন্য ‘জলদি অংক শিখি’, কিছু ইংরেজি শেখার জন্য English Step by Step, আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ‘আরো কিছু আয়ের পথ’ এবং আধুনিক চেতনায় সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য ‘সামনের দিকে পা ফেলি’ প্রভৃতি পুস্তিকা তিনি রচনা করেন। মোটকথা এই পুস্তিকাগুলি একত্রে ব্যবহার করে গণশিক্ষা আন্দোলনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। উল্লেখ্য যে, পড়া শিখি পুস্তিকার ন্যায় এগুলির দ্বারা অতি দ্রুত বিশাল ফল লাভ করা সম্ভব।

কেন এ উপলব্ধি

তিনি শিক্ষক হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতায় বিশ্বাস করেন। গণশিক্ষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মূল কারণ এদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা। তিনি বিশ্বাস করেন ৫২-র ভাষা আন্দোলন পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনেরূপ লাভ করে। একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি দেশের সকল মানুষ নিরক্ষরতা মুক্ত হয়ে একটি সমৃদ্ধ অগ্রসর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে।

ভাবনার শুরু কিভাবে

১৯৯৬ সাল। বাংলাদেশের রজত জয়ন্তী উৎসব। সারা দেশে ব্যাপকভাবে স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি পালিত হচ্ছে। সে সময় তাঁর উপলদ্ধি হলো যে, স্বাধীনতার ২৫বছরেও আমরা সাক্ষরতায় আমাদের কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে পারিনি। ২৫ বছরে আমরা মাত্র ১০ ভাগ মানুষের সাক্ষরতা ডেভেলপড করতে পেরেছি। অথচ প্রতি বছর রেডিও-টেলিভিশনের মাধ্যমে ৫ টা করেও যদি শব্দ আমরা মানুষকে শিখাতে পারতাম তবুও নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে পারতাম। সে ভাবনা থেকেই তিনি এ নিয়ে গবেষনা শুরু করেন এবং একটি সহজ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। যাতে করে যেকোনো বয়সের কোনো শিক্ষার্থী মাত্র ২ থেকে ৮সপ্তাহের মধ্যে বাংলা সঠিক ভাবে লিখতে ও পড়তে পারবে। যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে প্রমাণিত হয়েছে।

লেখকের বক্তব্য

আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, এত সহজ এবং এত দ্রুত কোনো পদ্ধতি পৃথিবীর অন্যকোনো মাতৃভাষাতে কেউ উদ্ভাবন করতে পারেনি বা সম্ভবও নয়। কারণ বাংলা ভাষার প্রতিটি অক্ষর বা বর্ণে ঠিক একই রকম উচ্চারন। কিন্তু ইংরেজি বা অন্য ভাষায় তেমনটি নয়। যেমন:

Chalk = চক

Cock = কক

H এর উচ্চারন হচ্ছে হ কিন্তু বাংলায় হ এর উচ্চারন হচ্ছে হ।

আমি যে প্রাইমার উদ্ভাবন করেছি তা অন্য কেউ করতে পারেনি। অনেকে অনেক প্রাইমার তৈরি করেছে কিন্তু তারা কেউ আমার প্রাইমারের পাশেও দাঁড়াতে পারবেনা। আমি এটা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চাই।

সুশীল সমাজের বক্তব্য

এই বই পুস্তকগুলি নিয়ে সরকারের ননফরমাল এডুকেশন ব্যুরোসহ বেশ কতগুলি বিশিষ্ট এনজিও এবং গণশিক্ষায় আগ্রোহন্নিত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। এর মধ্যে- ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন, ভাষা সৈনিক গাজিউল হক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাক্তন গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফসারু লআমিন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ড. রফিকুল ইসলাম, জনাব মনসুর মুসা, জনাব শামসুজ্জামান খান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড.আনিসুর রহমান, অধ্যাপক কে. এম. সা’দ উদ্দীন, ড. কাজী নুরুল ইসলাম প্রমুখ অন্যতম। তাঁরা প্রত্যেকেই এই পদ্ধতির প্রশংসা করেছেন এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

পদ্ধতির প্রয়োগ

এই মডিউল গুলি বেশ কিছু এনজিও যেমন: শাপলা সমাজ সেবা সংস্থা ও গণশিক্ষা আন্দোলন ফোরাম, নিজেরা করি, উদয়ন, প্রগতিশীল সমাজ সংঘ, গণকেন্দ্রিক, আর.সি.ডি, বাংলার পাঠশালা, এডুআলো, স্ট্রীট চিলড্রেন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন এনজিও সফলভাবে নানা জায়গায় প্রয়োগ করেছেন। এবং যা কার্যকর প্রমানিত হয়েছে। তবে নানা কারনে সরকারি পর্যায়ে বিশেষ করে সরকারের ননফরমাল এডুকেশন ব্যুরোতে এটি প্রয়োগের পক্ষে মতামত তৈরি হওয়া সত্ত্বেও এর প্রয়োগ কার্যকর হয়নি। যেজন্য বর্তমান গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রপাত হয়েছে। আশা করা যায় এই পুস্তকগুলির প্রয়োগে একটি সহজ ও দ্রুত গণশিক্ষার পরিকল্পনা কার্যকর করা সম্ভব হবে।

প্রতিবন্ধকতা

সরকারের কাছে অনেক সহযোগীতা আশা করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই সরকারের সরকারের নিজস্ব প্রয়োজনে এটা বাস্তবায়ন করা উচিত।

সরকারের নিকট লেখকের আবেদন

এই বইটা আমি বহু সাধ্য-সাধনা করে উদ্ভাবন করেছি এবং যার কার্যকারিতা শতভাগ প্রমানিত। তাই এই বইটি সরকারের গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত করে আগামি ২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব। তাই সরকারের কাছে আমার আবেদন যেন এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাহয়।

কিভাবে শিক্ষা নিবে

কেউ চাইলে উপরে উল্লেখিত এনজিও গুলোর যে কোন শাখা থেকে খুব সহজেই শিক্ষানিতে পারবে। অথবা যেকেউ এখান থেকে একটি বই কিনে নিয়ে খুব সহজেই ঘরে বসেই বাংলা লেখা ও পড়া শিখতে পারেন।

বইটির দাম

বইটি কেউ ক্রয় করতে চাইলে এর দাম মাত্র ১০ টাকা।

বইটি কোথায় ও কিভাবে পাওয়া যাবে

শাপলা গণশিক্ষা কার্যক্রম (সাদেক খাঁন বস্তি, রায়ের বাজার বধ্যভূমি এবং ৪৬-বি কলা বাগান লেক সার্কাস মাজার নিকটস্থ শাপলা গণশিক্ষা বিদ্যালয়), হাঙ্গার প্রজেক্ট, গণশিক্ষা আন্দোলন ফোরাম (৩/৭ আসাদ এভিনিউ), এছাড়াও বাংলার পাঠশালা, এডুআলো, স্ট্রীট চিলড্রেন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামক যেকোনো এনজিও তে বইটি পাওয়া যাবে। কেউ চাইলে এখান থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এছাড়া যেকোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন-০১৯১২৮৩৪২৮৩, ০১৬৭৫৩২৫১৫২ (মুক্তা) নম্বরে।