চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : ‌সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল মিনহাজুর রহমান রাহি (১৮)। অংক পরীক্ষায় সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। এতে তার আশংকা হয়েছিল, সে ‘এ প্লাস’ পাবেনা। এ আশংকা থেকেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রাহি।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাহিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাহি ফটিকছড়ি বিএমসি কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক মো.শাহরিয়ারের ছেলে। তাদের বাসা নগরীর পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ বাহারউল্লাহ মসজিদের ‍পাশে জনৈক ইব্রাহিমের বিল্ডিংয়ে।

রাহি’র ফুফা চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের উপ কলেজ পরিদর্শক মো.আব্দুল হালিম জানান, রাহি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল। রবিবার তার গণিত প্রথম পত্র পরীক্ষা ছিল।

পরীক্ষায় পূর্ণাঙ্গভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় মন খারাপ ছিল রাহির। বাসায় এসে একথা জানানোর পর তার বাবা বলেন, আমি গণিতের শিক্ষক। আমার ছেলে গণিতে খারাপ করেছে। যাক, কি আর করা। দ্বিতীয় পত্রের জন্য ভালভাবে পড়ালেখা কর।

রাত থেকে রাহি গণিত দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তবে মা-বাবার কাছে বেশ কয়েকবার ‘এ প্লাস’ না পাবার আশংকা করে কান্না করে রাহি।

ভোরে ঘুম থেকে উঠে রাহি নিজের কক্ষে পড়তে বসে। সকালে রাহি’র বাবা কলেজে চলে যান। তার মা দুই বোনকে নিয়ে স্কুলে যান। মা বাসায় এসে দেখতে পান তার ছেলে নিজের কক্ষের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।

দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান চমেক পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক জাহাঙ্গীর আলম।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, একজন শিক্ষকের সন্তান পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

(ওএস/পিবি/জুন ০১, ২০১৫)