স্পোর্টস ডেস্ক : ফিফা`র দুর্নীতি নিয়ে গত ক`দিন ধরেই নানা আলোচনা-সমালোচনায় মুখর বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে স্পন্সর নিয়ে জটিলতায় পড়তে যাচ্ছে ফিফা।

যার ফলে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির জন্য স্পন্সর পাওয়া কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে তাই দ্রুত বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করাটাই এ মুহূর্তে ফিফার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আর এর জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন জরুরি বলেও মনে করছেন তারা।

ব্র্যান্ডিং এক্সপার্ট ল্যান্ডোর-এর সিইও লোইস জ্যাকোবস বলেন, ফিফার এখন উচিত তাদের ব্র্যান্ডিং এর উদ্দেশ্য এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে সবাইকে পরিষ্কারভাবে জানানো। বিশ্বকাপ পরিচালনার পাশাপাশি সংগঠনটি আরও অনেক ভালো কাজ করছে। সেগুলোর ওপরই তাদের এখন গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাছাড়া তারা যেসব সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে আসছে যার সুফল পাচ্ছে বিশ্ববাসী।

ফিফার বিশ্বকাপ আয়োজকদের অন্যতম ভিসা এরই মধ্যে জানিয়েছে আগামীতে তারা আর সংগঠনটির সঙ্গে থাকবে না। অথচ গত বছর এই অংশীদারত্ব চুক্তি থেকে প্রায় ১৭৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে ফিফা। মূলত বিশ্ব জুড়ে ভোক্তাদের চাপের মুখে এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে ব্র্যান্ডগুলো।

ব্র্যান্ডিং এক্সপার্ট ল্যান্ডোর-এর সিইও লোইস জ্যাকোবস আরও বলেন, এর আগে ৯০`র দশকে সল্ট লেকে আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের সময় ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। সে সময় ঐ দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার পর ৫৪বার পুনর্গঠন হয়েছে। এখন অলিম্পিক কমিটির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই।

২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বিজ্ঞাপন বাবদ প্রায় ৫৭০ কোটি ডলার আয় করেছে ফিফা। যদিও বেশ চড়া দামেই বিশ্বকাপের স্পন্সর বিক্রি হয় তবে ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ায় সুনাম পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত নতুন স্পন্সরের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

(ওএস/এএস/জুন ০১, ২০১৫)