পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাইসাইকেল আমদানীতে শুল্ক ফাঁকির মামলায় স্থলবন্দর লিমিটেডের ম্যানেজার কাজী আল তারেকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার দুপুরে আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়।

আদালত সূত্র জানায়, পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে তারেকের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জামিনের বিরোধিতা করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান।

আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কান্ত রায় উভয় পক্ষের শুনানী শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর ও ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজিবির সমন্বয়কারী পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রওশন মোস্তফা আসামী তারেককে রিমান্ডে নেয়ার আদালতের নির্দেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ মে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা দুই হাজার ৪০০ টি ভারতীয় বাইসাইকেল আটক করা হয়। পরদিন ২০ মে বিজিবির সুবেদার মো. আবুল কালাম কাজী আল তারেকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পঞ্চগড় থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় বাংলাবান্ধা শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া ও সুপার জাকির হোসেনসহ ৪ জনকে তাৎক্ষণিক বদলী করা হয়।

এদিকে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সিএন্ডএফ এজেন্ট বিনয় মুজুমদার ও আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান নীলফামারির সৈয়দপুরস্থ রাজু সাইকেলের স্বত্বাধিকারী এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় নানা প্রশ্ন ওঠার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা রওশন মোস্তফা দাবি করেন, আসামীরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছেনা।

স্থলবন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বন্দর কেন্দ্রিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সদস্যরা ভারতীয় বাইসাইকেল, ফলমূলসহ আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেরা কোটিপতি বনে গেছেন।

এ সিন্ডিকেটের সাথে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীসহ কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের কতিপয় সদস্য সম্পৃক্ত রয়েছেন। অনেকদিন পর ধরা পড়া ঘটনার দায় থেকে কোন কারণে অব্যাহতি পেলে এ সিন্ডিকেট আরো বেপরোয়া হয়ে রাজস্ব ফাঁকির মচ্ছবে মেতে উঠবে বলে সূত্রটির ধারণা।

এ প্রসঙ্গে পঞ্চগড় আমদানি ও রফতানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদি হাসান বাবলা বলেন, আমরা চাচ্ছি স্বচ্ছভাবে বন্দরটি পরিচালিত হোক। কিন্তু কিছু অসৎ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের কারণে বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।

(এসএবি/পিএস/জুন ০১, ২০১৫)