আন্তজার্তিক ডেস্ক : আগামী জুনে ব্রাজিলে শুরু হতে যাচ্ছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের ২০তম আসর। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে ব্রাজিলের শহরগুলোকে। তবে এ চাকচিক্যের আড়ালে ব্রাজিলে শিশু পতিতাবৃত্তিও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে।

সংবাদ সংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ব্রাজিলে সাধারণত ১৮ বছর বা তার বেশী বয়সী মেয়েদের জন্য পতিতাবৃত্তি আইনসিদ্ধ। কিন্তু সেখানে ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের পতিতাবৃত্তি। কম বয়সী এসব মেয়েদের পতিতাবৃত্তিতে আনার পেছনে স্থানীয় বড় বড় হোটেলগুলোকে দায়ী করা হচ্ছে।

এদিকে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিলে অন্তত ৬ লক্ষ বিদেশি পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ব্রাজিল সরকার। এছাড়া অন্তত ৩ লক্ষ ব্রাজিলীয় বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিলের বিভিন্ন শহর ঘুরে বেড়াবেন। বিশ্বকাপের সময় পর্যটকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে হোটেলগুলো তুলনামূলক কম বয়সী মেয়েদের পতিতাবৃত্তির জন্য অগ্রহী করে তুলছে বলে জানায় সিএনএন।

হোটেল ছাড়াও ব্রাজিলে ভাসমান পতিতার সংখ্যা অসংখ্য। স্টেডিয়াম এলাকা বা বাসস্ট্যান্ডের মতো জায়গাগুলোও তাদের অবাদ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

পেকুইনো নাজারেনো নামের ১৭ বছর বয়সী এক পতিতা বলেন, "আমরা বড়দের মত স্বাধীনভাবে রাস্তায় বের হয়ে খদ্দের ধরতে পারিনা। আমরা সাধারণত লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে থাকি।"

তবে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের পতিতাবৃত্তিতে আসার পেছনে ব্রাজিলের বর্তমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থাও অনেক অনেকাংশে দায়ী। দারিদ্রতার জন্য অনেক বাবা-মা তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পতিতাবৃত্তির দিকে ঠেলে দেন।

অ্যান্তোনিয় লিমা নামে ব্রাজিলের একজন আইনজীবী বলেন, "এসব মেয়েরা মূলত চরম দরিদ্র্য পরিবার থেকে আসে। অথবা সমাজ তাদের আলাদা করে রাখার কারণে বেঁচে থাকার তাগিদে তারা পতিতাবৃত্তির পেশা বেছে নেয়।"

উল্লেখ্য, ব্রাজিলের 'ন্যাশনাল ফোরাম ফর দ্যা প্রিভেনশন অব চাইল্ড লেবার'-এর মতে, ২০১৩ সালে ব্রাজিলে শিশু পতিতার সংখ্যা ছিলো অন্তত ৭ লাখ। তবে বিশ্বকাপের সময় ঘনিয়ে আশার কারণে এর পরিমান অন্তত ১ মিলিয়ন বা তারও বেশিতে দাঁড়িয়েছে।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ০৪, ২০১৪)