নিউজ ডেস্ক : সফল মানুষ মানেই আত্মবিশ্বাসী। শুধু দক্ষতা দিয়ে জীবনে সফল হওয়া যায় না সঙ্গে থাকা চাই আত্মবিশ্বাস। কারণ স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে। এ কারণে একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হতে পারে আপনার আদর্শ।

আর এ ধরনের মানুষ চিনতে মোটামুটি ১০টি বৈশিষ্ট্য খেয়াল করলেই নিশ্চিত হতে পারবেন-
তুলনা করে না, হতাশও হয় না
অতি আত্মবিশ্বাসী লোকেরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে- প্রত্যেক মানুষ আলাদা ও অনন্য। এ কারণেই তারা কখনো একজনের সঙ্গে আরেকজনের তুলনা করে সময় নষ্ট করে।
সবাইকে খুশি করতে নেই
আত্মবিশ্বাসী মানুষ জানে যে, সব মানুষকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। এ কারণে এ নিয়ে তারা চিন্তাও করে না, চেষ্টা করা তো দূরের কথা। কোনো কিছুতে ইতিবাচক সাড়া দেয়ার আগে খুব ভেবে চিন্তে নেয়। ব্যক্তি বা বিষয়ের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ভালো করে জানার পরেই সিদ্ধান্ত নেয়। এরা সব সময়ই বিবেকের ওপর আস্থা রাখে।
অন্যের মতো নই
আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা নিজেদের মূল্যায়ন করে দক্ষতার সঙ্গে। নিজের সবকিছুই যে তারা পছন্দ করে এমন নয়। কিন্তু তারা যৌক্তিক এবং প্রামাণিক হওয়ার সাহস বুকে রাখে। নিজের স্বাতন্ত্র বজায় রেখে চলে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যস্ত নয়
নিজের অনুভূতির কথা অবলীলায় বলতেই এরা বেশি সচ্ছন্দ বোধ করে। তারা তাদের যুক্তির ন্যায্যতা প্রমাণে, আত্মপক্ষ সমর্থনে বা ব্যাখ্যায় সব সময় বাধ্য থাকে না। নিজের অধিকার, গুরুত্ব এবং প্রাপ্য সম্পরর্কে এরা অত্যন্ত সচেতন। এরা খোলামেলা প্রকৃতির এবং সামর্থের বাইরের বিষয় বুঝতে অন্যের সঙ্গে সমঝোতা করতে প্রস্তুত।
কারো নিশ্চয়তা পাওয়ার ধার ধারে না
এরা বিশ্বাস করে আত্মবিশ্বাসই সফলতার মূল ভিত্তি এবং এদের আত্মবিশ্বাসও কংক্রিটের প্রাচীরের মতো। সফলতা, সুখ এবং সমৃদ্ধিই তাদের প্রাপ্য এবং তারা এরই যোগ্য বলে মনে করে।
দোষারোপের অভ্যাস নেই
নিজের কাজ ও জীবনের সব দায়দায়িত্ব এরা নিজেরাই নেয়। তারা জানে, তার জীবনের জন্য তার নিজেকেই জবাবদিহি করতে হবে। আর এও বিশ্বাস করে যে, ক্ষমতায়নের ভিত্তি হচ্ছে নিজের দায়িত্বটা নিজের কাঁধে নেয়া।
নেতিবাচক লোকের সঙ্গে সময় নষ্ট করে না
এরা যোগ্যতায় দক্ষতায় ছাড়িয়ে যাওয়াটা খুব ভালো বোঝে। এরা নেতিবাচক লোকদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করে না কিন্তু এদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে। এরা সব সময় ইতিবাচক মানুষের ভিড়ে থাকতে পছন্দ করে।
পরচর্চা নয়
সম্পর্ক নষ্টের মূলে রয়েছে পরচর্চা। এরা তা ভালো করেই জানে। তারা আরো জানে যে, মানুষ পরচর্চা করে ভীতি, রাগ, ঈর্ষা থেকে। আর পরচর্চাকারীরা সব সময় তার বক্তব্যের একজন সমর্থক খোঁজে।
গড়িমসি করে না
যে কোনো কাজের প্রথম পদক্ষেপটা তারাই নেয়। এর মাধ্যমে তারা ইতিবাচক এবং খোলামেলা মানসিকতার দিকে নিজেকে চালিত করে। ওই কাজে খুব বেশি আগ্রহ না পেলেও তারা বিষয়টা বুঝার জন্য হলেও প্রথম পদক্ষেপটা নেয়। এরপরই দ্বিতীয় পদক্ষেপে যায়।
অন্যের নিয়ন্ত্রণ সহ্য করে না
আত্মবিশ্বাসীরা গুরুবাদে বিশ্বাসী নয়। এরা নিজেই নিজের শিক্ষক এবং পরিচালক। যা ভাবে, করে এবং বলে তার ওপর তাদের পূর্ণ আস্থা থাকে। এতেই তারা বেশি সচ্ছন্দ বোধ করে। এরা দিকনির্দেশনা ও সমর্থন চায় এবং অনেক সময় পরামর্শক বা কোচের ওপর নির্ভর করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলে।
(ওএস/এএস/মে ১৭, ২০১৪)