স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ঘানা বিশ্বকাপে দুরন্ত দল। তারা আলোড়ন সৃষ্টি করতে চায় এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপেও। আফ্রিকার এই দলটি আগের ২ বিশ্বকাপে বড় বড় দলকে চমকে দিয়েছিল। এবার তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যদিও গ্রুপ ‘জি’ তে দি ব্ল্যাক স্টাররা লড়াই করবে ইউরোপের দৈত্যখ্যাত জার্মানি ও প্রত্যয়ী পর্তুগাল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে।

ঘানা জার্মানিতে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে এসেছিল। আর অভিষেকেই তারা শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ সালে ঘানা শেষ আটে পা রেখেছিল স্বাভাবিকভাবেই চমক উপহার দিয়েই।

ব্রাজিল বিশ্বকাপে ঘানার লক্ষ্য, প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেমিফাইনালে খেলা। সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে সম্ভব হবে কিনা। ঘানার তারকা অধিনায়ক আসামোয়া জিয়ান যিনি আগের ২ বিশ্বকাপে খেলেছেন সেই তিনি জানিয়েছেন, ব্রাজিলে আরও উন্নতি করার চেষ্টা করা হবে। জিয়ান বলেছেন,‘ ঘানা সম্পর্কে একটি ব্যাপার সেটা হচ্ছে যখন আমরা বড় দলের সঙ্গে খেলি তখন পারফর্ম করি। আর এমনটি ঘটেছে যখন আমরা ২০০৬ ও ২০১০ সালে বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম। আর আমি বিশ্বাস করি আবারও এমন ঘটবে সামনের বিশ্বকাপে।’

অপ্রতিরোধ্য ছিল ঘানা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। ৭ বারের আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন মিসরকে ৭-৩ (দুই লেগ) ব্যবধানে হারিয়ে ব্রাজিলের টিকিট পায় তারা। জিয়ান নিজেও গোল পেয়েছেন।

ব্রাজিল বিশ্বকাপে ঘানা অভিজ্ঞ দল নিয়েই যাবে। কারণ মাইকেল এসিয়েন দলে আবার যোগ দিয়েছেন। আর এ ছাড়া মাজিদ ওয়ারিস ও ক্রিশ্চিয়ান অ্যাটসু তো রয়েছেনই।

ঘানার কোচ কেসি আপিয়াহ। যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় সহকারী কোচ ছিলেন। তিনি খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা রেখেছেন। যদিও গুঞ্জন ছিল তাকে সরিয়ে বিদেশী কোচ আনা হবে।

৩ বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। তারা গ্রুপ পর্ব পার হবে সহজেই। এখন এই গ্রুপে পর্তুগাল রয়েছে। ফলে দ্বিতীয় স্থান দখল করা ঘানার জন্য কঠিন হবে।

(ওএস/পি/মে ১৭,২০১৪)