মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা পৌরসভার ২০১৫-২০১৬ সালের ৬১ কোটি টাকার  প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরভবনের তৃতীয় তলা মিলনায়তনে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। তবে ৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌর কর্মচারীরা বাজেট অধিবেশন প্রত্যাখ্যান করে। 

দুপুর ১২টায় পৌরসভার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পৌর মেয়র ইকবাল আকতার খান কাফুর ৬১ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। বাজেটে তিনি সর্বমোট ৬১ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা সম্ভাব্য আয় হিসেবে দেখিয়েছেন। এর মধ্যে মোট রাজস্ব ব্যায় ১৫ কোটি ২০লাখ ৯৫ হাজার, রাজস্ব খাতে উন্নয়ন ব্যয় ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার, উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরী হিসেবে ব্যয় ৩ কোটি ও মোট প্রকল্প ব্যায় হিসেবে ধরা হয়েছে ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া সার্বিক বাজেট উদ্বৃত্ত হিসেবে ১৮লাখ ৭৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এ সময় পৌর কাউন্সিলর ও কয়েকজন কর্মকর্তা বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌর কর্মচারীরা এ বাজেট অধিবেশন প্রত্যাখ্যান করেন। তারা নিচতলায় হলরুমে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এছাড়া এবারের বাজেট অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথিরা অধিকাংশই উপস্থিত না হওয়ায় পৌর নাগরিকরা এ বাজেট প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
পৌরসভার বাসিন্দা মোঃ বাকি ইমাম বলেন- মাগুরা পৌরসভা অদক্ষতার দুষ্টুচক্রে পড়েছে। এ পৌর পরিষদ কোন প্রাকার নাগরিক সেবা না দিয়েই নাগরিকদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করতে চায়। ফলে নাগরিকরা সঠিকভাবে ট্যাক্স প্রদানে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে আয় কমেযাচ্ছে পৌরসভার। আর পৌর কর্মচারিরা দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে উন্নয়ন কর্মকান্ড ফেলে মিছিল সমাবেশে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এ পৌর পরিষদ যতই চেষ্টা করুক কাগজে কলমে দেয়া এ বাজেট তারা কোন ক্রমেই বাস্তবায়ন করতে পারবে না বলেই আমার বিশ্বাস। পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- বাজেট একটি পৌরসভার উন্নয়নের অন্যতম সোপান হিসেবে চিহ্নিত হলেও মাগুরা পৌরসভার বাজেটে কোন ধরণের স্বচ্ছ দিক নির্দেশনা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ এ বাজেট থেকে তেমন কোন সুফলই পাবেন না। তিনি বলেন পৌর কর্মচারিদের পেটে ক্ষুধা রেখে কোন প্রকার উন্নয়নই সম্ভব নয়।

এ সময় পৌরসভার কয়েকজন ঠিকাদার দীর্ঘদিন তাদের বকেয়া বিল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকার কোন স্বচ্ছ হিসাবই নতুন বাজেটে তুলে ধরা হয়নি বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেন। সর্বোপরি বাজেটের বিস্তারিত অংশ সরবরাহ না করে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারির কাছে এক পাতার একটি নোটসীট ধরিয়ে দেয়ায় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বাজেট অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা এ বাজেটকে লেজেগোবড়ে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
(ডিসি/পিবি/জুন ০৪,২০১৫)