গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামে আগুনে পুড়ে একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছে। শনিবার রাত ১১ টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী এবং পুলিশ প্রাথমিক অবস্থায় এটিকে নাশকতা বলছেন। অগ্নিকান্ডের সময় নিহতরা সবাই ঘুমিয়ে ছিল। নিহতদের মধ্যে ৩ জন ঘটনাস্থলে এবং ১ জন হাসপাতালে মারা যায়। নিহতরা হলো-ডুমদিয়া গ্রামের মৃত. দেলোয়ার গাজীর স্ত্রী ফুরী বেগম(৬৫), তার নাতি তামিন ফকির(১০), তানিমা (৬) এবং ৮ম শ্রেণীর ছাত্র আমিনুর সরদার (১৫)। তামিন ও তানিমা আপন ভাই-বোন এবং আমিনুর এদের খালোতো ভাই। এরা সবাই নানি বাড়িতে থাকতো।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিহত ফুরি বেগমের বড় মেয়ে জামাই চরমানিকদাহ গ্রামের আজাদ মোল্লার সাথে স্ত্রী শরিফা বেগমের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে। স্ত্রীকে সে দেখে নেবে বলে মোবাইলে হুমকীও দিয়েছে। এলাকাবাসীর ধারনা আজাদ মোল্যাই ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে এদেরকে পুড়িয়ে মেরেছে। আগুন লাগার সময় অভিযুক্ত আজাদের স্ত্রী শরিফাও ঘরে ছিল। তবে তার কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। দুদিন আগে নিজের দুই সন্তানকে আজাদ তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ায় তার উপর অভিযোগের পাল্লাটা ভারী হয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। একই পরিবারের এভাবে ৪ জন লোকের আগুনে পুড়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।

এলাকাবাসী জানায়, রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে তারা কেউ কেউ আগুন দেখে ও চেচামেচির শব্দে ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে ঘটনাস্থলে যান এবং ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন। তারা পানি দিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হন। তবে ইতোমধ্যে তিনজন আগুনে পুড়ে সেখানেই নিহত হন। মারাত্মক আহত অবস্থায় তানিমাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দুইটার দিকে সে মারা যায়।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্যা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের চিহিৃত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমএইচএম/জেএ/মে ১৮, ২০১৪)