ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ১৮ মামলার আসামী ঝালকাঠির বিনয়কাঠি ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো: তৌহিদুল সিকদারের মৃত্যুতে ওই এলাকায় স্বস্তি নেমে এসেছে। তৌহিদুল সিকদারের মৃত্যুর পরে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসহ সাধারণ মানুষ মসজিদ ও মন্দিরে মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

১৮টি মামলাসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক জিডি থাকার পরেও বহাল তবিয়তে অবস্থান করত তৌহিদুল। ২০০৮ সালে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই হঠাৎ সন্ত্রাসের জগতে আবির্ভূত হয় তৌহিদুল-মুহিদুল দু’ভাই।

এরপর থেকেই ঝালকাঠির সীমান্তবর্তী বিনয়কাঠি ইউনিয়ন ও তার আশেপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ বাহিনীর হামলায় মুহিদুলের এক পা হারানোর পরে একক নেতৃত্বে তৌহিদুল এক মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়। খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজী, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।

ঝালকাঠি যুবলীগে সাংগঠনিকভাবে সামান্য একটি পদে নাম লিখিয়ে ঝালকাঠির উত্তর জনপদের মানুষ তৌহিদুল বাহিনীর হাতে এক প্রকার জিম্মি হয়েছিল। তার এ বাহিনীর ক্যাডারদের হাত থেকে মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ঠিকাদার-ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারীরা কেউই রেহাই পেতো না এবং তাদের হাতে নির্যাতিতরা অধিকাংশই থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করার সাহসও পেতো না বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের সঞ্জয়পুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই সিকদারের ছেলে মো: তৌহিদুল সিকদার বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয় ।

(এএম/পিএস/জুন ০৬, ২০১৫)