গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা চালুর দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ থেকে বক্তারা গত ২২ মে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ভাংচুরকারীদের  গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। ওই দিন  থেকে অদ্যাবধি হাসপাতালটি ইনডোর সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে টুঙ্গীপাড়াসহ আশপাশের উপজেলার মানুষ।

রবিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পানি উন্নয়ন অফিসের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল বশার খায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরদার, পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন সরদার, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বিএম তৌফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবুল হোসেন খোকন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক পান্না, শেখ আহম্মদ আলী মির্জা, গিমাডাঙ্গা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আবুল কালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ মে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে এনে সহস্রাধিক এলাকাবাসী হামলা চালিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তাদের হামলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ পবিত্র কুমার কুন্ডু, নার্স কাকতি লতা পালসহ অন্ততঃ ৪০ জন আহত হয়। এঘটনার প্রতিবাদে ইতোপূর্বে জেলার চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা বন্ধসহ নানা কর্মসূচী পালন করেন। এ ঘটনায় ২ হাজার ৩শ’ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। সেই থেকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। তবে সীমিত আকারে বর্হিবিভাগ ও জরুরী বিভাগ চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম সিরাজুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তারা সব ধরনের চিকিৎসা সেবা চালু করতে পারবেন বলে আশা করছেন। ভেঙ্গে ফেলা আসবাবপত্রাদি সংস্কার করা হলেই তারা ইনডোরে রোগিদের ভর্তি করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

(এমএইচএম/এএস/জুন ০৭, ২০১৫)