নীলফামারী প্রতিনিধি : পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ব্লেড দিয়ে পেট কেটে আত্মহত্যা করেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম (৬৮)।

 

রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিরাজুল কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের উত্তর ভেড়ভেড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি পেটের ব্যথায় আক্রান্ত ছিলেন। অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন এবং প্রতিবেশিদের দেওয়া কিছু সহযোগিতায় কোন রকমে চলছিল তাদের সংসার।

পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে রোববার দুপুরে নিজেই ব্লেড দিয়ে পেট কেটে ফেলেন সিরাজুল। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে পাগলাপীর এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে সহযোগিতা চেয়েও কিছু পাইনি। চিকিৎসার টাকা জোগার করতে পারিনি কিন্তু তিনি নিজেই এ রকম ঘটনা ঘটাতে পারেন বিশ্বাস হচ্ছে না।

পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সায়েম বলেন, বছর খানেক আগে জন্ডিসে আক্রান্ত হন সিরাজুল। সে সময় তার পেট এতো বেশি বড় হয়ে যায় যা অবিশ্বাস্য। নিঃশ্বাস নিতে সিরাজুলের অনেক কষ্ট হতো বলে তিনি শুনেছেন। এতো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে দুপুরে তিনি ব্লেড দিয়ে পেট কেটে ফেলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে সিরাজুল আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। নিহতের ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। রাতেই তাকে দাফন করা হয় বলে জানান ওসি।

(ওএস/এএস/জুন ০৮, ২০১৫)