আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। তবে পাওয়ার কথা ছিল আরো ৮০ বছর আগে। ৮০ বছর আগে জার্মানির নাজি সরকার তাকে কোনো ধরনের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি।

তিনি ১৯৩৮ সালে ডিপথেরিয়ার ওপর হামবুর্গের ইউকেই ইউনির্ভাসিটি মেডিকেল সেন্টারে পিএইচডির থিসিস জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু নাজি সরকার তাকে তখন পরীক্ষায় অংশ নিতে দিতে রাজি ছিল না।

অবশেষে ১০২ বছর বয়সে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করতে সক্ষম হলেন।

মঙ্গলবার জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে।

এই পেড্রিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞের নাম ইংগিবর্গ সিলম রেপোপোর্ট। বর্তমানে তার বয়স ১০২ বছর।

বিশ্ববিদ্যালয় জানাচ্ছে, এই বিশেষজ্ঞ নর্দার্ন পোর্ট সিটিতে মেডিসিন বিষয়ে পড়াশুনা করতেন এবং পরে তিনি ইসরাইলিটি হসপিটালে ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। এ সময় তিনি তার ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য অভিসন্দর্ভ জমা দেন।

কিন্তু তখন অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায়। সে সময় তিনি ইংগিবর্গ সিলমের মৌখিক পরীক্ষাগ্রহণ স্থগিত করেন। কারণ, তার মা মারিয়া সিলম ছিলেন ইহুদি ও একজন পিয়ানাবাদক।

ইংগিবর্গ সিলম জার্মানির অনলাইন নিউজপোর্টালকে গত মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিষয়টি একটি নীতিগত ব্যাপার। আমার একার কোনো বিষয় নয়।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বড় ধরনের ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে। আট দশকে ডিপথেরিয়ায় বেশ সাফল্য এসেছে।

১৯৩৮ সালে ইংগিবর্গ সিলমের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক একটি সদন দিয়েছিলেন, যাতে তিনি বলেছিলেন, ইংগিবর্গ সে সময় যদি থিথিস পরীক্ষায় অংশ নিতেন, তবে তিনি আইনগতভাবেই পাস করতেন এবং তার উপাধি অর্জন করতে পারতেন।

এদিকে, হামবুর্গ ইউর্নিভার্সিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত মে মাসে ইংগিবর্গের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে এবং তাতে তিনি পাস করেছেন।

বিবৃতিতে ইউনিভির্সিটি জানায়, তিনিই সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বয়সে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করলেন।

ইংগিবর্গ সিলম রেপোপোর্ট ১৯৩৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানেই তার স্বামীর সঙ্গে তার দেখা হয়। এরপর সেখানেই তিনি প্যাডিয়াট্রিক পেশায় জীবন শুরু করেন।

এ সময় তিনি ফিলাডেলফিয়াতেও আরো দুই বছর পড়াশুনা করেন।

(ওএস/এএস/জুন ১০, ২০১৫)