মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড় বাড্ডা গ্রামে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে লম্পটরা পালিয়ে থেকে ধর্ষিতার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও লোকলজ্জা ও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি চেপে যায় তার পরিবার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আদালতে একটি মামলা দায়ের ও বুধবার সকালে ধর্ষিতার মা ঘটনাটি সংবাদিকদের জানায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মস্তফাপুরে বড় বাড্ডা গ্রামের কিশোরীর বাবা কাজের জন্য ঢাকায় থাকেন। তার মা রবিবার সুরেশ্বর পীরের দরবারে যায় এবং রাতে সেখানেই অবস্থান করেন। এই সুযোগে ঐ কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে, একই গ্রামের জেলহাস হাওলাদারের ছেলে মিলন হাওলদার (২৮) ও সালাম হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদার (২৮) ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষকরা পালিয়ে থেকে ধর্ষিতার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
ধর্ষিতা কিশোরী বলে, ‘গত রবিবার রাতে আমার মা পীরের বাড়ি যাওয়ায় আমি আর আমার ছোট বোন বাড়িতে ছিলাম। মিলন আর সবুজ রাতে আমাদের ঘরের বেড়া কেটে প্রবেশ করে, আমার বোন ও আমাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। তারা চলে যাওয়ার সময় শাসিয়ে যায় যেন এ ঘটনা কাউকে না জানাই। জানালে আমাদের খুন করে বস্তায় ভরে খালে ফেলে দিবে।’
ধর্ষিতার ছোট বোন বলে, ‘মিলন আর সবুজ ঘরে ঢুকে বটি দিয়ে আমারে আর আপারে মারার ভয় দেখায়। তারা কয় চিৎকার দিলে খুন করে ছালার বস্তায় ভরে খালে ফেলে দিব। পরে তারা বাতি নিভিয়ে আপার সাথে খারাপ কাজ করেছে।’
ধর্ষিতার পিতা বলেন, ‘আমার মেয়েকে যারা নষ্ট করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদাবি করছি। মোবাইলে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আমি এখন আতংকের মধ্যে আছি।’
মাদারীপুর থানার ওসি জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
(এএইচএ/পিবি/জুন ১০,২০১৫)