স্টাফ রিপোর্টার : ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল।

জেলার সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার অনেক সড়ক এখন পানিতে নিমজ্জিত।

বুধবার বিকেল পর্যন্ত অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

‌এদিকে পিয়াইন ও সারি নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে রোপা আউশ, আউশের বীজতলা এবং ইরি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সেই সাথে দেশের বৃহত্তম পাথর কোয়ারি জাফলং, বিছনাকান্দি, ভোলাগঞ্জে পাথরে উত্তোলন ব্যাহত হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক ।

পাহাড়ি ঢলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীর গাও, রুস্তুমপুর, লেংগুরা, তোয়াকুল ও ডৌবাড়ি ইউনিয়ন।

উপজেলার জাফলং চা বাগানসহ আশপাশের আরো কয়েকটি চা বাগানের অনেকাংশই প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় স্কুলে যেতে প্রতিবন্ধকতা পেরোতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পাহাড়ি ঢলের কারণে এই মুহূর্তে অনেকটা পর্যটক শূন্য জাফলং, বল্লাঘাট।

কোম্পানীগঞ্জের কিছু সড়কেও পানি উঠে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সালুটিকর-রাধানগর সড়কেও।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, কেবল বর্ষা শুরু হয়েছে। এখন থেকে টানা বৃষ্টিপাত হবে। এই বৃষ্টিতে কোনো ক্ষতি না হলেও উজানে (ভারতে) বেশি বৃষ্টিপাত আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সিলেটে গড় বৃষ্টিপাত ছিল ৯০ মিলিমিটার। এছাড়া দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২১ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং এরপর বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার অনেক স্থানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে, বৃষ্টিপাত কমে গেলে এ ধরণের ফ্লাশ ফ্লাড থাকবে না। এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

(ওএস/পিএস/জুন ১০, ২০১৫)