নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে তুচ্ছ ঘটনায় আমেনা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার হরিশপুর চৌরি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।  নিহত গৃহবধু ওই গ্রামের আব্দুস সালাম ভুঁইয়ার স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার হরিশপুর ইউনিয়নের দক্ষিনপুর গামের আবু সাঈদের ছোট মেয়ে কোহিনুর খাতুনের (১৯) সাথে পার্শ্ববর্তী শ্রীধরপুর গ্রামের হাবীবুর রহমান বাবুর বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি মারপিটের ঘটনায় কনের পরিবারের সাথে আমেনার শশুর হেকিম ভুইয়ার পুর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শশুর হেকিম ভুইয়া পুত্রবধূকে ওই বিয়ে ভেঙ্গে দিতে বলে। এতে রাজী না হলে ক্ষুদ্ধ হয়ে পুত্র বধু আামেনাকে বৃহষ্পতিবার সকাল থেকেই ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।

পরে স্বামী, শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজন তার ওপর নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে আব্দুস সামাদ ভুইঁয়া স্ত্রী আমেনাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আমেনাকে হত্যার পর তার লাশ গোপন করা হয়।

এদিকে বোনের বিয়ের জন্য বৃহষ্পতিবার সকালে আমেনার স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসার দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তারা না আসায় আামেনার বোন কোহিনুর বারবার রিং করেও বোন-দুলাভাইসহ বাড়ির কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা। খোঁজ নিতে আমেনার বাবা আবু সাঈদ মেয়ের বাড়িতে গেলে আমেনার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানায় আমেনা সকালে চলে গেছে। তাদের কথায় সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালাবন্ধ ঘর থেকে তালা ভেঙ্গে আমেনার মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

আমেনার বাবা আবু সাঈদ অভিযোগ করে জানান, তার মেয়েকে জামাতা আব্দুস সালাম ভাই ও তার বাবা সহ বাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করার পর লাশ গোপন করার চেষ্টা করেছিল। বর্তমানে হেকিম ভুঁইয়াসহ তার পরিবারের লোকজ মামলা না করার জন্য প্রভাবশালী চাপ দিচ্ছে। এমন কি আমেনার মত তার পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।

নাটোর সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ পাননি, পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(এমআর/এএস/জুন ১১, ২০১৫)