মাগুরা প্রতিনিধি : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সকল আবাদি জমির শস্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী মাগুরায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরা পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের সভাকক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইন্টারফেস যশোর হাব প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণে স্থানীয় ১’শ কৃষক-কৃষাণীসহ, মাগুরার ৪টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, স্টকহোল্ডারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সিসার খুলনা বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর সুবাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর নন্দী, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সৌরভ হোসেন, বিএডিসি’র কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন, কৃষিবিদ হাফিজুর রহমান, আইডিই’র জেলা কর্মকর্তা শংকর গাইন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তরা জানান, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষিখাতে অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। যদি বাংলাদেশের কৃষিখাতকে সম্পূর্ণ যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতিতে উন্নীতকরণ সম্ভব হয় তাহলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ২১টি জেলায় সিসা এমআই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইন্টারফেস (আইডিই) খাদ্যশস্য বৃদ্ধিসহ দারিদ্র্য মানুষের ক্ষুদা ও অপুষ্টি দূরীকরণের কাজটি বাস্তবায়ন করছে।

হাবের কর্মকর্তারা জানান, কৃষিখাতকে সম্পূর্ণ যান্ত্রিকীকরণ করতে হলে ধান কাটা মেশিন, জমি চাষ ও চারা রোপনের আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ বেশ কিছু ভারি যন্ত্রপাতির প্রয়োজন এবং যার বাজার মূল্যও বেশ চড়া তবে কৃষক চাইলেই বিনা সুদে ঋনের ব্যবস্থা করে দিবেন তারা।

এ সময় কৃষি কর্মকতারা একই জমিতে বছরে কিভাবে একাধিক ফসল উৎপাদন করা যায় এ বিষয়েও আলোচনা করেন।

(ডিসি/পিএস/জুন ১১, ২০১৫)