স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব-জুবায়ের ঘূর্ণির পর বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে ফতুল্লা টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। প্রথম দিন বৃষ্টির কারণে খেলা হয়েছিল মাত্র ৫৬ ওভার। দ্বিতীয় দিন কোনো বলই মাঠে গড়ায় নি। আর তৃতীয় দিন মাঠে খেলা হয় মাত্র ৪৭.৩ ওভার।

খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ভারতের সংগ্রহ ১০৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৬২ রান। হরভজন সিং ৭ এবং অশ্বিন ২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।

তৃতীয় দিন সকালে সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সাফল্য এনে দেন। শিখর ধাওয়ানকে ফেরানোর পর রোহিতকে ফেরান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়েছেন ক্রমেই বিধ্বংসী হয়ে ওঠা শিখর ধাওয়ানকে। পরের ওভারেই সরাসরি বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ফর্মে থাকা রোহিতকে।

১৯৫ বলে ২৩টি চারের সাহায্যে ১৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান। ৯ বল খেলে ১ চারে ৬ করেন রোহিত শর্মা।

সাকিবের জোড়া আঘাতের পর সাফল্য পান জুবায়ের হোসেন। অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে গুগলিতে বোল্ড করে ফেরান এই লেগস্পিনার। আউট হবার আগে ২২ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন ভারতের এই পোস্টার বয়।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর কয়েক দফা বৃষ্টির পর ভারতকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মুরালি বিজয়ের পর ঋদ্ধিমান সাহা ও আক্রমণাত্মক রাহানেকে ফেরায় বাংলাদেশ। মূলত সাকিব এবং জুবায়েরের বিধ্বংসী বোলিং তোপে পড়েছে ভারত।

মুরালি বিজয়কে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অফ স্ট্যাম্পের বল সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন বিজয়। আম্পায়ার ধর্মসেনার এলবিডাব্লিউ ঘোষণা দিলে উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশ।

এরপর আবারো জুবায়ের জাদু। তার আরো একটি গুগলিতে ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা পরাস্ত। ১০ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি।

সাহার বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানের বলে পুল করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আজিঙ্কা রাহানে। ওয়ানডে স্টাইলে খেলতে থাকা রাহানে ১০৩ বলে ১৪ চারে ৯৮ রান করেন।

শুক্রবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে টাইগাররা। ভারত এই সেশনে ১৫৯ রান তুললেও বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে মূল্যবান তিনটি উইকেট।

তৃতীয় দিনে বিনা উইকেটে ২৩৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার শেখর ধাওয়ান ও মুরালি বিজয়। ধাওয়ান ১৫০ ও বিজয় ৮৯ রান নিয়ে খেলতে নামে তারা।

(ওএস/এএস/জুন ১২, ২০১৫)