শোভন সাহা : বিশ্বের ২০১৫ সালের শীর্ষ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ১০ ক্রীড়াবিদের নাম উঠে এল দ্যা টেলিগ্রাফ পত্রিকাতে।

দুই জন বক্সার ফ্লায়েড় মেওয়েদার ও ম্যানি প্যাকিয়াও ছাড়াও এর সাথে আছেন বর্তমান সময়ের ফুটবলের ২ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর লিওলেন মেসি। তাছাড়া সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন বর্তমান যুগের সেরা টেনিস খোলোয়াড় রজার ফেদারার।

প্রথম স্থানে আছেন যুক্তরাষ্টের সেরা বক্সিং খেলোয়ার ফ্লায়েড় মেওয়েদার। তাঁর বার্ষিক আয় ১৯৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার যার ১৮৪ মিলিয়ন ডলারই আয় হয় বিভিন্ন টুনামেন্টের প্রাইস মানি ও তাঁর বেতন থেকে। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে টেলিভিশনে উপস্থাপনার মাধ্যমে আয় হয় আরো ৯ মিলিয়ন ডলার।

দ্বিতীয় স্থানে আছেন ম্যানি প্যাকিয়াও। জন্ম পিলিপিন্সে। ম্যানি প্যাকিয়াওকে পিলিপিন্সের মানুষেরা তাদের জাতীয় আইকন হিসাবে সম্মান করে। তাঁর মোট আয় ১০৩ মিলিয়ন ডলার। বেতন ও বিভিন্ন প্রাইস মানি থেকে আয় ৯৫ মিলিয়ন ডলার। টেলিভিশনে উপস্থাপনার মাধ্যমে তাঁর আয় হয় আরো ৯ মিলিয়ন ডলার।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সর্বোচ্চ আয়ের দিক দিয়েও মেসিকে টপকে দখল করে নিয়েছেন তিন নম্বর স্থান। তাঁর বার্ষিক আয় ৫১ মিলিয়ন ডলার। জাতীয় দল এবং ক্লাব ফুটবল থেকে তাঁর আয় ৩৪ মিলিয়ন ডলার আর বিজ্ঞাপন স্বত্ব থেকে আয় করেন ১৭ মিলিয়ন ডলার।

সর্বোচ্চ আয়ের দিক থেকে লিওলেন মেসির অবস্থান চতুর্থ। জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবল থেকে তাঁর আয় ৩৩.৫ মিলিয়ন এবং বিজ্ঞাপন থেকে ১৪ মিলিয়ন ডলার। তাঁর মোট আয় ৪৭.৫ মিলিয়ন ডলার।

টেনিস খেলোয়ার রজার ফেদারার আয়ের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে। তিনি বছরে আয় করেন ৪৩ মিলিয়ন ডলার যার বেশির ভাগই (৩৭ মিলিয়ন ডলার) বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেন। আর ৬ মিলিয়ন ডলার খেলা খেকে আয় করেন।

ফেশায় লিব্রন জেমস একজন বাস্কেট বল খেলোয়াড়। তাঁর বার্ষিক আয় ৪২ মিলিয়ন ডলার যার মধ্যে বিজ্ঞাপন থেকে আয় ২৮.৫ মিলিয়ন ডলার আর জাতীয় টিম ও ক্লাব থেকে আয় ২৩.৫ মিলিয়ন ডলার। আয়ের দিক থেকে তাঁর স্থান ষষ্ঠ।

তাছাড়া সপ্তম স্থানে আছেন বাস্কেট বল খেলোয়াড় কেভিন ডুরান্ট। তাঁর আয় ৩৫ মিলিয়ন ডলার।

অষ্টম স্থানে আছেন গলফ খেলোয়াড় ফিল মাইকেলসন। তাঁর এই বছরের আয় ৩৩ মিলিয়ন ডলার।

টাইগার উডস আছেন নবম স্থানে । তাঁর আয় ৩২ মিলিয়ন ডলার।

দশম স্থানে কবে ব্রায়ান্ট। তাঁরও বার্ষিক আয় ৩২ মিলিয়ন ডলার।

(এসএস/পিএস/জুন ১২, ২০১৫)