চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সুপেয় পানির অভাব মেটাতে বাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

শনিবার চট্টগ্রাম ওয়াসার সম্মেলনকক্ষে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সুপেয় পানির চাহিদা পূরণের সম্ভাবনা নিয়ে এক সেমিনারে এ কথা বলেন সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে সুপেয় পানির অভাব পূরণে শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, সাধারণ জনগণকেও সম্পৃক্ত হতে হবে।

“এজন্য ভবিষ্যতে বহুতল বাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকাকে বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।”

উন্নয়ন সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়োজনে ‘বর্ষা ‍দিবস উদযাপন আষাঢ় ১৪২২’ শিরোনামে আলোচনায় সুপেয় পানির চাহিদা পূরণে বৃষ্টির পানির যথাযথ ব্যবহারের উপর জোর দেন আলোচকরা।

সেমিনারে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কল-কারখানার বর্জ্য আর জনগণের অসচেতনতার ফলে কণর্ফুলী নদীতে এখন পানযোগ্য পানি ও মাছ নেই।

“কর্ণফুলী নদী, খাল, পুকুর, দীঘির মতো গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎস নষ্ট হওয়াতে চট্টগ্রামে এখন স্বাস্থ্যকর পানির যে অভাব দেখা দিয়েছে তা মেটানোর জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ হতে পারে একটি স্বল্প ব্যয়ের সহজ সমাধান।”

সেমিনারের সভাপতি ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন কুমার সরকার বলেন, “আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র নেপাল ও ভারত সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে বৃষ্টির পানি ব্যবহারের উপর কাজ করছে।

“এক্ষেত্রে সরকার যদি সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রয়োজনে আইন করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করে তবে তা ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে।”

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার।

সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন চুয়েটের উপ-উপাচার্য মো. রফিকুল আলম ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালক আফতাবুর রহমান।

(ওএস/অ/জুন ১৩, ২০১৫)