ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকরা কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।’ ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের মা-মনি কৃষি খামারে বিকেলে বাংলাদেশ ফার্মাস এ্যাসোসিয়েশনের কৃষকদের সাথে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষের মতবিনিময়কালে কৃষকরা এই কথা বলেন।

বাংলাদেশ ফার্মাস্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান আলী পেঁপে বাদশার সভাপতিত্বে¡ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ এ জেড এম মমতাজুল করিম মহাপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, একেএম দেলোয়ার হোসেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্পের চেয়ারম্যান ও ড.মুহাম্মদ খলিলুর রহমান মহাপরিচালক বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট। উক্ত মতবিনিময় সভায় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কৃষি সচিব কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, সবজি ও কৃষি পণ্যের খামার পরিদর্শন করেন।

এসময় কৃষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক জাহিদুল ইসলাম ওরফে গাজর জাহিদ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক আমিরুল ইসলাম খামারী আমিরুল, আনসার আলী ডিলু, মুরাদ আলী মালিথা, সেলিম হোসেন ও আমজাদ হোসেন মালিথা।

কৃষকরা বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নেই। রোদ বৃষ্টিতে ভিজে কৃষি পন্য উৎপাদন করলেও পণ্যের মূল্য কম হওয়ার কারণে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এতে কৃষকেরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বক্তারা আরও বলেন, ঈশ্বরদীতে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। তাই এখানে একটি কৃষি পণ্য রাখার জন্য আধুনিক হিমাগার ও আধুনিক ট্রেনিং সেন্টারের জোর দাবি তোলেন।

প্রধান অতিথি বলেন, এদেশে সরকারি পর্যায়ে নয়, ব্যক্তি পর্যায়ে কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। তারপরও কৃষকদের সার-কীটনাষক ও বিভিন্ন কৃষি পণ্য সামগ্রীতে ভর্তূকী দিয়ে আসছেন সরকার। আধুনিক পদ্ধিতে চাষাবাদের কারণে কৃষকদের উৎপাদন বেড়েছে, এখন দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। কৃষকেরাই এদেশের প্রধান চালিকা শক্তি ও প্রাণ। তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদীর কৃষকদের প্রাণের দাবিগুলো আমি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সভায় উপস্থাপন করবো।

কৃষকেরা যেন সহজ ভাবে এবং স্বল্প সুদে কৃষি কৃষি ঋণ নিতে পারেন এবং তাদের মনের কথা গুলো খুলে বলতে পারেন। সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমানকে ঈশ্বরদীতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাবো বলে তিনি জানান।

(এসকেকে/এএস/জুন ১৪, ২০১৫)