নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহারে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে জামায়াত কর্মী এক মাদ্রাসা শিক্ষককে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরেক জামায়াত নেতা মৌলানা আব্দুল বাকীসহ জড়িত ৮ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার মাদ্রাসা শিক্ষক মৌলানা আব্দুল করিমের স্ত্রী মোসা. তাসমিনা আকতার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

জানা গেছে, উপজেলার সেনপুর এড়েন্দা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জামায়াত কর্মী মৌলানা আব্দুল করিম শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আদালতে দায়েরকৃত একটি মামলার তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আলোচনা করার জন্য চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মৌলানা আব্দুল বাকীর বাড়িতে যায়। ওই দিন বিকেলেই মামলাটির তদন্তের সময় ধার্য্য ছিল। মাদ্রাসা শিক্ষক মৌলানা আব্দুল করিম তার ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে মামলাটির তদন্তের দিন পরিবর্তনের জন্য মৌখিক ভাবে আবেদন করেন। চেয়ারম্যান এতে উত্তেজিত হয়ে সময়ের আবেদন নাকচ করেন। এনিয়ে জামায়াতের উভয় মৌলানার মধ্যে তুমুল বাকতিন্ডা ও একপর্যায় হাতাহাতি শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যান মৌলানা আব্দুল বাকী ও চৌকিদার আমজাদ আলী সহ আসামীগন ওই শিক্ষককে চেয়ারম্যানের বৈঠকখানা ঘরের জানালার শিকের সঙ্গে রশি দিয়ে পিছ মোড়া দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনকারীরা ওই শিক্ষকের পরনের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে পকেটে থাকা নগদ টাকা, একটি বাইসাইকেলসহ প্রায় ৩৩ হাজার ৫শ’ ৩২ টাকা সম্পদ কেড়ে নেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মৌলানা করিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে আহত ওই শিক্ষক সাপাহার উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূর ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
(বিএম/এএস/মে ১৮, ২০১৪)