নিউজ ডেস্ক : ভালবাসা আছে, কিন্তু কমিটমেন্ট নেই। বিবাহিত হয়েও প্রাক্তন প্রেমের খোঁজে অস্থির। মেয়ে হোক বা ছেলে, বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত, সকলেই যেন আজকাল গোপন প্রেম চালিয়ে যাচ্ছে!

ভয়ংকর বিষয়টা হচ্ছে, আজকাল যেন এই ব্যাপারটাকে কেউই অন্যায়ই মনে করছে না। সবার কাছেই যে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক।

অবশ্য এমনটা ভাবারই কথা, আড়ালে আবডালে একটু আধটু পরকীয়া তো আপনিও করেন! তাই না? তবে মনে রাখবেন, এই ধরনের লোকেদের ওয়েবের দুনিয়াতেও "চিটার" বলা হয়। আর নানান ধরনের চিটিং ওয়েবসাইটে প্রাইভেটে অ্যাফেয়ারের চাহিদায় লোক সংখ্যা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

ফলে সাইবার মিডিয়ার দৌলতে বিশ্বাসঘাতকতাও বেড়েই চলেছে। অবশ্য সেই আদমের যুগ থেকে চলছে সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা। তবে বর্তমানে বিশ্বাসঘাতকতার চেহারা একদমই বদলে গিয়েছে। আর সেই পালেই হাওয়া দিচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া। বিশেষ করে ফেসবুক। এসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো অনেককেই গোপনভাবে তাদের পুরোনো প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে ফের এক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। রিলেশনশিপ মনিটর নামক একটি চিটিং ওয়েবসাইট সম্প্রতি জানিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জন বিবাহিত লোক ভালবাসা খুঁজে বেরান তাঁদের ওয়েবসাইটে!

পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্যই মানুষ সোস্যাল মিডিয়াতে আসেন। কিন্তু, সমস্যা তখনই হয় যখন তারা তাদের প্রাক্তন প্রেমীকে খুঁজতে এই ধরনের সাইট ব্যবহার করেন। যাদের বিবাহিত জীবন সুখের তারাও যেমন পুরোনো সম্পর্কের মাঝে নতুনত্ব খুঁজতে সোস্যাল মিডিয়ার আসেন, তেমনই অনেক লোক এমনও আছেন যারা নতুন অনুভূতির ছোঁয়া পেতে চান।

ফেসবুক বা অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়া সাইট আপনার পুরনো জীবনকেও জীবিত রাখে, পুরনো প্রেমকেও ভুলতে দেয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ বুঝতে পারেন না তারা পরকীয়া প্রেমের দিকে ছুটে চলেছেন। তারা কখনও ভাবতেও পারেন না যে তাদের এই কাজ কখনও ধরা পরে যেতে পারে।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে সোস্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু অন্য সত্যিটা হল এই সোস্যাল মিডিয়াই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এবার এটা আমাদের উপর নির্ভর করছে যে আমরা কীভাবে এর ব্যবহার করব।

(ওএস/এটিআর/মে ১৮, ২০১৪)