নিউজ ডেস্ক : আমাদের জানা আছে যে শুক্রাণুর অস্বাভাবিকতার কারণে পুরুষ হয়ে উঠতে পারেন বন্ধ্যা। কিন্তু এর পেছনে যে অন্য কোনো ঝুঁকি থাকতে পারে তা কি কখনো চিন্তা করেছেন? নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, যাদের শুক্রাণুতে অস্বাভাবিকতা আছে, তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অন্যদের চাইতে বেশি হয়ে থাকে।

তরুণ এবং মধ্যবয়স্ক যেসব পুরুষ কোনো কারণে বন্ধ্যা, যেমন স্পার্ম রেট কম, স্পার্ম চলাচলে সমস্যা বা এধরণের অন্য কোনো সমস্যা থাকলে আট বছরের মাঝে তাদের মৃত্যু ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি হয়। বয়স এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এসব বিবেচনায় আনার পরেও তাদেরই মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি দেখা যায়। যাদের ওপরে এই গবেষণা করা হয় তাদের সবারই বয়স ছিলো ২০ থেকে ৫০ বছরের মাঝে। আর তাদের সবাই বাবা হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ঠিক কি কারণে অস্বাভাবিক শুক্রাণু এসব মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সে ব্যাপারে সঠিক জানা যায়নি। এমনটা হতে পারে যে, অস্বাভাবিক শুক্রাণু আছে এমন মানুষের মাঝে অজানা কোনো রোগ বা জটিলতা আছে যা তাদের জীবনের ওপরে ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে আরও বিশদ গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। অতীতের অন্যান্য গবেষণা থেকে বন্ধ্যাত্ব এবং খারাপ স্বাস্থ্যের মাঝে সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া তাদের মাঝে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেশি হতে দেখা যায়। তবে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি হবার সম্ভাবনা এই গবেষণাতেই পাওয়া গেলো।

যাদের শুক্রাণুতে কমপক্ষে দুইটি সমস্যা ছিলো, এই গবেষণা চলাকালীন সময়ে অন্যদের চাইতে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা ২.৩ গুণ বেশি হতে দেখা যায়। শুক্রাণুতে সমস্যা যত বেশি, মৃত্যুর ঝুঁকিও তত বেশি হতে দেখা যায়।

(এটিআর/মে ১৮, ২০১৪)