গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামে আগুনে পুড়িয়ে শাশুড়ি ও শিশুসহ চারজনকে হত্যা ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আজাদ মোল্যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার পুটিমারী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের কাছে আজাদ মোল্যা স্বীকার করেছে, শনিবার রাতে ঘরের চারপাশে ও ভেতরে কেরোসিন ঢেলে ম্যাচের কাঠি দিয়ে সে তার শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার শাশুড়ি ও স্ত্রীর বোনদের তিন ছেলে-মেয়ে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

মূলত আজাদ তার স্ত্রীর ওপর রাগ করে তাকে হত্যার জন্যই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায়। তবে আগুনে স্ত্রী বেঁচে গেলেও মারা যায় তার শাশুড়িসহ চারজন শিশু।

শনিবার রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার গাজীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তার বড় মেয়ের জামাই আজাদ মোল্লা। এসময় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায় মৃত দেলোয়ার গাজীর স্ত্রী হুরিয়া বেগম (৬৫), তার নাতি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তামিম ফকির (৮), স্থানীয় ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আমিনুর সরদার (১৪)। পরে হাসপাতালে রাত ২টার দিকে মারা যায় নাতনি তানিমা (৬)।

(ওএস/এটিআর/মে ১৮, ২০১৪)