রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ৭০টি সরকারি গাছ রাতের আঁধারে কেটে স-মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বনকর্মর্তার নিয়োজিত দালালরা।। শনিবার দিবাগত রাতে রায়পুর-চাঁদপুর, পানপাড়া, কাজির দিঘির পাড় সড়কের পাশে গত দুদিনের ঝড়-তুফানে ভেঙ্গে পড়া গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়।

তবে রহস্যজনক কারণে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে জানলেও এখন র্পযন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেয়নি বলে এলাকাবাসী জানান।
রোববার সরজেমিনে জানা যায়, গত দু’দিন ধরে চাঁদপুর, পানপাড়া ও কাজির দিঘিরপাড় সড়কের দুই পাশে স্থানীয় উপকারভোগীদের লাগানো বিভিন্নি প্রজাতির করই, মেহগনি ও আকাশমনসিহ প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যর ৭০টি গাছ কেটে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার র্শতে একাধকি ব্যক্তি অভিযোগ করেন, উপজলো বন ও রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মুন্সির নির্দেশে বামনী ইউনিয়নের আনোয়ার উল্যা, মান্নান পাটোয়ারী, কেরোয়া ইউনিয়নের মনা বেপারী ও ইব্রাহিম মেম্বারসহ ৭-৮জন দালাল রাতে ওই গছাগুলো কেটে নিয়ে যান। এখনো গাছগুলো বামনীর বাংলা বাজার, কাজির দিঘির পাড় ও কেরোয়া ইউনিয়নের জোরপোল ও ওয়াইজজার পোল এলাকার স-মিল ঘরে রয়েছে বলে তারা জানায়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপকারভোগী অভিযোগ করেন, এর আগেও ওই চক্রটি এভাবে একাধকিবার সরকারি গাছ কেেট নিলেও ক্ষমতার দাপটে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছনে না।
সরকারি গাছ কেেট নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার উল্যা, মান্নান পাটোয়ারী ও মনা বেপারী বলেন, ‘বন কর্মকর্তার নির্দেশে গাছগুলো কেটে কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে। এগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে উপকার ভোগীদের ভাগ করে দেয়া হবে। গাছ বিক্রির বিষয়টি তারা অস্বিকার করেন।
যোগাযোগ করা হলে লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর বন ও রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ও মোবাইলেও পাওয়া যায়নি। তবে কুমিল্লা বিভাগীয় জেলা বন কর্মকর্তা মোঃ ছানা উল্যা পাটোয়ারী মোবাইল ফোনে বলেন, সরকারী গাছ কেটে নেয়া বা বিক্রি করা কারো অধিকার নেই। খোজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(পিকেআর/এএস/মে ১৮, ২০১৪)