লালমনিরহাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, `ছিটমহলবাসীর আগের দিন শেষ, নতুন দিনের অভ্যুদয় হয়েছে। আমরা মিথ্যার চির অবসান ঘটাতে চাই।

সত্য পরিচয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই বিশ্ব দরবারে। বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় ১১৯ নং বাঁশকাটা ছিটমহলে পৌঁছলে ছিটমহলের নারী ও পুরুষ মানবাধিকার কমিশনারকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান।

এক মতবিনিময় সভায় ছিটবাসী মানবাধিকার কমিশনারের কাছে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের দাবি জানান তিনি।

ছিটবাসীর কোনো শিশু-কিশোরকে আর মিথ্যা পরিচয় নিয়ে স্কুল কলেজে পড়তে হবে না। তারা বাংলাদেশি পরিচয়ে স্কুল কলেজে পড়বে, লেখাপড়া শিখবে। অনতিবিলম্বে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার আইডির কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এসময় তিনি ছিটবাসীর বিভিন্ন সমস্যা ও সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনে তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ৬৮ বছর ধরে বন্দী জীবন যাপনের ফলে নাগরিকত্বহীন সুবিধাবঞ্চিত ছিটবাসীর চাকরি লাভের ক্ষেত্রে কোঠা পদ্ধতি চালু ও বয়স শিথিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা আবেদন জানাব। তিনি বাঁশকাটা ছিটমহলের অধিবাসী সামছুন্নাহারের স্নাতক ডিগ্রি লাভের প্রশংসা করে তাকে চাকুরি দেয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন, মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ইমাম উদ্দিন কবির, প্রফেসার লায়াল ছুংগা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, পাটগ্রাম নির্বাহী অফিসার নূর কুতুবুল আলম, পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা রেজাউল করিম, জোংড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ্ মাহমুদুন্নবী শাহিন, ছিটমহল সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সভাপতি মইনুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির লালমনিরহাট জেলার সভাপতি শাহ আব্দুল হামিদ আফতাবী বকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

(ওএস/এএস/জুন ১৭, ২০১৫)