স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের নদনদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে সহায়তা দিতে চায় নেদারল্যান্ড সরকার। দেশটির বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত গার্বন ডি ইয়ং জানিয়েছেন নদী খনন ও নদী ব্যবস্থাপনায় তার দেশের সরকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবে।

এছাড়া ডেলটা প্ল্যান আর্থিক সহায়তা অব্যহত রাখাসহ গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

রোববার বিকেলে শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে এক সাক্ষাতে তিনি এ আগ্রহের কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা নদী খনন এবং নদী ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ খাদ্যে অনেকটা সংসম্পূর্ণ হয়েছে। এজন্য কৃষি খাতে আরও বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের এলএনজি টার্মিনালে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। এজন্য বাংলাদেশের এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।

তিনি দেশে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। এজন্য শীঘ্রই একটি দল আসবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য বর্তমানে নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ৫০ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এ সহায়তা নেদারল্যান্ডস বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। নেদারল্যান্ডস যে ১২টি দেশকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে ১টি।

খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ছাড়াও পুষ্টিমান বৃদ্ধিসহ প্রাণি সম্পদ খাতে বাংলাদেশের আরও উন্নতি করার জায়গা রয়েছে। নেদারল্যান্ডস এতে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে আগ্রহী।

বায়ু চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে ডাচ রাষ্ট্রদূত জানান, সরাসরি জিটুজি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে এখাতে বিনিয়োগ করার সুযোগ নেই। তবে সরকারি বেসরকারি পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে এখাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ সময় ডেলটা প্ল্যান কার্যক্রমে ডাচ সরকার সাহায্য করতে চাওয়ায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে হলে ডেলটা প্ল্যান কার্যক্রম আমাদের জন্যে কার্যকর হবে। এর ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমি উদ্ধারসহ পানি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি ও মৎস্য চাষে প্রাণ ফিরে আসবে। আগামি ৫০ বছরকে সামনে রেখে এ ডেলটা প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন,নদী খনন কার্যক্রমে নেদারল্যান্ডস এর সাহায্য অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হবে। সরকার নদী খননের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত মাটি দিয়ে দুই তীর বাঁধানো হবে। এক তীর দিয়ে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তা-ঘাট তৈরি করা হবে। অপর তীরে হবে অর্থনৈতিক জোন।রী করা হবে।

মন্ত্রী গভীর সমুদ্র বন্দর ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ডাচ সরকারের আগ্রহকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,আগামি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ডাচ সরকার বায়ু চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরীতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বাংলাদেশকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান ১২টি দেশের তালিকায় রাখায় ডাচ রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

(ওএস/এস/মে ১৮, ২০১৪)