জয়পুরহাট প্রতিনিধি :জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আদিবাসী পল্লীতে শ্বশুরবাড়িতে চারজনকে কুপিয়ে হত্যার পর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার ভোরে ভ্রীমপুর গ্রামে ওই আদিবাসী পল্লীতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে পাঁচবিবি থানার ওসি আবু হেনা মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সুমন হেমরন (৩০)। নিহতদের মধ্যে তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সানিও রয়েছে। হামলায় সুমনের স্ত্রী সিলভিয়া হেমরনও (২২) গুরুতর আহত হন। নিহত অন্যরা হলেন : সুমনের শাশুড়ি সন্ধ্যা রানি মারান্ডি (৬০), শ্যালিকা তেরেসা মারান্ডি (১৮) এবং গৃহকর্মী মারকেল (৪০)।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে স্ত্রী শশীলয় মাড্ডির সঙ্গে তার স্বামী সুমনের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সুমন উত্তেজিত হয়ে শশীলয়, ছেলে সানী (৮), শাশুড়ি সন্ধ্যারাণী (৫০), শ্যালিকা তেরেজা মাড্ডিসহ (১৭) আরও এক আত্মীয়কে কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছেলে, শাশুড়ি, শ্যালিকা ও এক আত্মীয় নিহত হন। তবে ওই আত্মীয়র নাম জানা জায়নি। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন শশীলয়। সুমন ওই বাড়িতে ঘরজামাই ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় একটি মোটর ওয়ার্কশপে কাজ নেন। ভোররাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন তিনি।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি কামাল বলেন, পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ ‍তুলে প্রথমে স্ত্রীর ওপর চড়াও হন সুমন। তাকে বাঁচাতে এসে হামলার মুখে পড়েন অন্যরা। হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে গ্রামবাসী সুমনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ চারটি ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে। তাদের সবার দেহে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলভিয়া জয়পুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

(ওএস/এসসি/জুন২০,২০১৫)