স্টাফ রিপোর্টার : বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার বিক্রির প্রথম দিনে ৩৬ লাখ শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব জমা পড়েছে। এতে সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৭২ টাকা। আর সর্বনিম্ন দাম ৫০ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রায় তিন বছর পর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে আসছে কোনো কোম্পানি। ইউনাইটেড পাওয়ারের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে এ প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য দর প্রস্তাব গ্রহণ শুরু হয়েছে রোববার। চলবে আগামি ২০ মে পর্যন্ত।

প্রতিদিন বেলা ২ টা থেকে ২০ মে বেলা ২ টা পর্যন্ত দর প্রস্তাব করা যাবে। দর প্রস্তাবের সঙ্গে প্রস্তাবিত শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ২০ শতাংশ অর্থ জমা দিতে হবে।

রোববার ১১ টি প্রতিষ্ঠান দর প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে ৯ টি প্রতিষ্ঠান নির্দেশক মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা ৭২ টাকা দরে শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ৩৪ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার কিনতে চায়। ১ টি প্রতিষ্ঠান ৬০ টাকা দরে ৪১ হাজার ৬০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। আর ৫০ টাকা দরে ১ লাখ শেয়ার কেনার প্রস্তাব।

উল্লেখ, বিধি অনুসারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নির্দেশক মূল্যের ২০ শতাংশ কম-বেশি পর্যন্ত দর প্রস্তাব করতে পারে। এ হিসেবে ইউনাইটেড পাওয়ারের শেয়ার কেনার জন্য সর্বোচ্চ ৭২ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৪৮ টাকা পর্যন্ত দর প্রস্তাব করা যাবে। তবে প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ দর থেকে শেয়ার বিক্রি শুরু হবে।

এদের কাছে শেয়ার বিক্রি শেষ হলে সর্বশেষ শেয়ারের বিক্রিত দর অনুসারে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করা হবে।

উল্লেখ, ইউনাইটেড পাওয়ার আইপিওতে ৩ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রি করবে। সর্বোচ্চ দামে এ শেয়ার বিক্রি হলে কোম্পানিটি বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারবে ২৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর সর্বনিম্ন দামে এ শেয়ার বিক্রি হলে কোম্পানিটি সংগ্রহ করতে পারবে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আইপিও’র মাধ্যমে সংগৃহীত টাকায় কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধনের সংস্থান এবং আইপিওর খরচ নির্বাহ করবে।

জানা যায়, ইউনাইটেড পাওয়ারের দর প্রস্তাবের জন্য প্রায় সাড়ে ৩০০ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ফি জমা দিয়েছে। নিবন্ধন করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার টাকা করে জমা দিয়েছে। তবে আইন না থাকায় দর প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয় নি। তবে নির্দেশক মূল্যে দর প্রস্তাব করত এমন ২৮টি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ তারিখে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সাক্ষর করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার।

প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে শেয়ার বিক্রি শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বিএসইসির কাছে আবেদন করা হবে হবে। এরপরেই আইপিও’র আবেদন ও টাকা জমা নেওয়ার সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে।

এই হিসাবে আগামি মাসে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবেদন জমা নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এ কোম্পানিটি ৩ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রি করবে। সর্বোচ্চ দামে এ শেয়ার বিক্রি হলে কোম্পানিটি বাজার থেকে সংগ্রহ করতে পারবে ২৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর সর্বনিম্ন দামে এ শেয়ার বিক্রি হলে কোম্পানিটি সংগ্রহ করতে পারবে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আইপিও’র মাধ্যমে সংগৃহীত টাকায় কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধনের সংস্থান এবং আইপিওর খরচ নির্বাহ করবে।

গত বছরের শেষ ভাগে ইউনাইটেড পাওয়ার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের নির্দেশক মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ছয় ক্যাটাগরির ১৮ টি প্রতিষ্ঠান এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে দর প্রস্তাব করে। এসব দরের ভারীত্ব গড় হয় ৬০ টাকা।

এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ারের দর গ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে বাজারের মন্দার কারণে পুরো প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে পড়ে। গত মাসের শেষ ভাগে বুক বিল্ডিংয়ের সংশোধিত আইনের আওতায় বিডিংয়ের জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে মহড়া হয়।

(ওএস/এস/মে ১৮, ২০১৪)