স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান সুদহার কমানোর নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দরকষাকষি নয়, বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ সুদহার হতে পারে ১১-১২ শতাংশ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আমানতের সুদের ওপর উেস কর সম্ভবত আর বাড়বে না। ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার কমিয়ে আনতে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠিও পাঠান। অর্থমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে। এর আগে সুদহার কমিয়ে আনতে অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের মতামত নিয়েছেন।

গত ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করে শিল্প খাতের ঋণের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা তুলে নেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ওই সময় একটি সার্কুলার জারি করে। তাতে বলা হয়েছিল, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ ও কৃষিঋণ ছাড়া অন্য খাতে ব্যাংক ঋণের ওপর সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হল। যদিও ২০১১ সালের মার্চ মাসে শিল্প খাতের ঋণের সুদহারের ১৩ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমা তুলে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর থেকে সুদ ও সার্ভিসচার্জ দ্রুত বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় দেশের কোনও-কোনও বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৮-২১ শতাংশ পর্যন্ত সুদ ধার্য করে শিল্পঋণ বিতরণ করছে।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ০৪, ২০১৪)