নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাবের চাকরিচ্যুত আরেক কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (অব.) এম এম রানাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

রবিবার নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রানার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন সাত খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবির ওসি মামুনুর রশিদ।

শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া আরেক আসামি মহিবুল্লাহর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নৌবাহিনীর এই অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাস এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এর আগে শনিবার ভোর রাতে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও আরিফ হোসেনকেও একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ।

তাদের মধ্যে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মারার জামাতা। আরিফ হোসেনও একই বাহিনীর মেজর। আর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। তারা তিনজনই নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন।

নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্বজনরা বলে আসছেন, র‌্যাবের এই কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এই হত্যাকাণ্ডের সব রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।

গত ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন একসঙ্গে অপহৃত হলে তা নিয়ে সারাদেশে আলোচনা ওঠে।

তিন দিন বাদে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়ার পর নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ তোলেন, কাউন্সিলর নূর হোসেনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়ে র‌্যাব এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এরপর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি আরেকটি বেঞ্চ গত ১১ মে র‌্যাবের এই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

এর আগেই র‌্যাব-১১ থেকে তারেক, আরিফ হোসেন ও রানাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে সামরিক বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। সেনাবাহিনী তারেক ও আরিফকে অকালীন অবসরে পাঠায়। আর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় নৌবাহিনী।

(ওএস/এস/মে ১৮, ২০১৪)