লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. নোমান (২৮) গুলি করে হত্যার জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ১০টা ও সাড়ে ১০টার দিকে পৃথক এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ছাত্রলীগ ও বিএনপি নেতারা এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করছেন। নিহত নোমান চন্দ্রগঞ্জের বসুদহিতা গ্রামের আবু সুফিয়ানের ছেলে ও যুবদল কর্মী জাহাঙ্গীর আলম একই এলাকার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের চৌধুরী মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা নোমান বটতলা এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় তিনটি মোটরসাইকেলে ৬-৭ জন সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে জাহাঙ্গীর হত্যা ঘটনায় স্থানীয়রা জানায়, রাতে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নোমানকে সন্ত্রাসীরা গুলি হত্যা করে। এ ঘটনার জের প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ওই ইউনিয়ন যুবদলকর্মী জাহাঙ্গীরকে গুলি করে। পরে নোয়াখালীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

লক্ষ্মীপু জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ জামাল রিপন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ নেতা নেমানকে গুলি করে হত্যা করেছে।

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুর রহমান জানান, যুবদলকর্মী জাহাঙ্গীরকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে।

চন্দ্রগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মো. নাছির উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগ ও যুবদল কর্মীর ওপর অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালা আনা হয়েছে। জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে।

(এমআরএস/জেএ/মে ১৯, ২০১৪)