বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা গম ক্রয় কমিটির বিরুদ্ধে পঁচা ও নিম্নমানের গম ক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিম্নমানের গম ক্রয় করে সরকারের প্রায় ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের পায়তারা করেছে ক্রয় কমিটির সদস্যরা।

নিয়ম অনুযায়ী এই গম সরাসরি প্রান্তিক চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্রয়ের নির্দেশ থাকলেও ক্রয় করা হয়েছে আড়তদারি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের নিকট থেকে। ঝালকাঠির গমের মিল, ফরিদপুর ও মোকসেদপুরের দোকানদারদের কাছ থেকে নিম্নমানের গম ক্রয় করে ইতোমধ্যে ১২০ টন গমে খাদ্য গুদাম ভর্তি করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়।

একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ২০০ টন গম ক্রয়ে সরকারিভাবে কেজি প্রতি ২৮ টাকা দর নির্ধারন করা হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবসার জন্যে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ও স্থানীয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে ২১ টাকা দরে নিম্নমানের গম ক্রয় করে ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার পায়তারা করছেন।

জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতাগী উপজেলায় ২০০ টন গম সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এজন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ কমিটি রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক গম সংগ্রহ কমিটির সদস্য অভিযোগ করেন, ২১ জুন তাদের সভা হলেও এর পূর্বেই ১৬ জুন তড়িঘড়ি করে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা গম সরবরাহ করে ভর্তি করে খাদ্য গুদাম। এ কমিটিতে রয়েছেন উপদেষ্টা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান, সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদস্য উপজেলা কৃষি অফিসার, মৎস্য অফিসার, শিক্ষা অফিসার, হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান, বেতাগী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা।

উপজেলা আভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল বাকী বলেন, গম সংগ্রহ কমিটির ইতোমধ্যে সভা করা হয়েছে। বর্তমানে গম সংগ্রহের কাজ চলছে। তবে সকলকে নিয়ে শীঘ্রই মান যাচাই করা হবে।

ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, উপজেলা আভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ কমিটির সভার পূর্বে গম সংগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জুন মাসের মধ্যে গম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে গম ক্রয় করা হয়েছে।

(এমএইচ/পিএস/জুন ২২, ২০১৫)