ঠাকুরগাও প্রতিনিধি : ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় ১৫ হাজার মেঃ টন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য গুদামে মজুদ থাকায় জায়গার অভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে চলতি বোরো সংগ্রহের ভরা মৌসুমে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মিল মালিক ও চাষীরা।

মুখ থুবড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে সংগ্রহ অভিযান। তবে খাদ্য বিভাগ বলছেন, মালামাল চলাচল প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হলে সফল হবেন তারা। এদিকে এরই মধ্যে আড়াই’শ মেঃটন বিদেশ থেকে আমদানি করা পচা চাল টুকেছে ঠাকুরগাওয়ে। যা গোদের উপর বিষ ফোড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

ঠাকুরগাওয়ের ৫ উপজেলার ১২টি খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার ৫’শ মেঃ টন। বর্তমানে এতে মজুদ রয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার মেঃ টন খাদ্য শস্য। এ অবস্থায় চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে জেলায় ৬৭ হাজার মেঃ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় কতৃপক্ষ। মালামাল চলাচল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২৫ ভাগ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে আর কোন জায়গা না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে সংগ্রহ অভিযান। মালামাল দ্রত অন্যত্র সরানো না গেলে মুখ থুবড়ে পড়বে সংগ্রহ কার্যক্রম এবং চরম ক্ষতির শিকার হবেন মিল মালিকরা।

জায়গার অভাবে সংগ্রহ অভিযান বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করেছেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ইসকে আব্দুল্লাহ।

সংগ্রহ প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চৌধুরী মোছাব্বের হোসেন খান জানান, মালামাল চলাচল প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হলে সংগ্রহ অভিযান সফল করা সম্ভব হবে ।

এদিকে গুদামে জায়গা না থাকলেও সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমদানি করা অতি নিম্মমানের ২৫০ মেঃ টন গম এ জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ যেন মারা উপর খাড়া ঘা। এ গমের ৫০ মেঃ টন পীরগঞ্জ এলএসডি’তে গত বৃহস্পতিবার পৌছলে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলীকে অবগত করা হয়। তিনি তাৎক্ষক খাদ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করে খারাপ গম পাঠানোর বিষয়ে প্রতিবাদ জানান।

এমতাবস্থায় সরকারী ক্রয় অভিযান সফল করতে মালামাল দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে গুদাম গুলি ফাকা করার দাবী জানিয়েছেন মিল মালিকরা।

(জেএবি/এসসি/জুন২৪,২০১৫)