বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় ডিলারদের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে সরবরাহ কৃত উচ্চ ফলনশীল বীজ ধান বিক্রিতে কৃষকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি আমন মৌসুমে কৃষকদের সুবিধার্থে বিএডিসি গত ১লা জুন উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল বি আর-১১,ভিত্তি,প্রত্ত্যায়িত ও মানঘোষিত ৩ জাতের বীজ ধান সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রির জন্য আমড়াগাছিয়ার ডিলার মের্সাস মিত্র এন্টার প্রাইজ,রায়েন্দা বাজারের  মের্সাস সরোয়ার এন্টার প্রাইজ, মের্সাস শহিদুল এন্টার প্রাইজকে সরবরাহ করে।

এদের মধে মোঃ সরোয়ার হোসেন,মোঃ শহিদুল ইসলাম ও স্বপন কুমার নাগ নামের ৩ ডিলার উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র কৃষকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ৭/৮ টাকা করে বেশি নিয়ে ধান বীচ বিক্রি করে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছে। বীজ ক্রয়কালে প্রত্যেক কৃষককে রশিদ দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেয়া হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এই ৩ ডিলাররা সরকারি নিয়মকে উপেক্ষা করে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্ত হাতিয়ে নিয়েছেন। উপজেলা সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা সরোয়ার আকন, হাফেজ আকন, গোলবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা জামাল গাজী সহ একাধিক কৃষক বলেন, ১০ কেজি উচ্চ ফলনশীল বীজ ধানের দাম সরকারিভাবে ৩১০ টাকা হলেও স্থানীয় এই ৩ ডিলার নিচ্ছে ৪০০/৪৫০ টাকা। তার পরেও কোন রশিদ দিচ্ছে না। এসব অনিয়মের বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি করার কথা থাকলেও তারা কোন খোঁজ খবর নিচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার জানান, সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি নেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয় তিনিও কৃষকদের মাধ্যেমে অবগত হয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারদের সরকারি রেটে বীজ বিক্রির মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরেও কেউ বেশি দাম নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
(একে/পিবি/জুন ২৪,২০১৫)