নিউজ ডেস্ক :আজ ২৬ জুন দেশের বহুল আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল মুক্ত দিবস। ১৯৯২ সালের এই দিনে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার তিনবিঘা করিডরের ফটক খুলে দেওয়া হয়। ফলে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা যুক্ত হয় দেশের সঙ্গে।

দিবসটি উপলক্ষে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহলবাসী মিলাদ মাহফিল, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তিনবিঘা করিডর গেট অভিমুখে আনন্দ শোভাযাত্রা পালনসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘ ৪৫ বছর অবরুদ্ধ থাকার পর ১৯৯২ সালের ২৬ জুন তিনবিঘা করিডরের ফটক রেশনিং প্রথায় এক ঘণ্টা পর পর ২৪ ঘণ্টায় ছয় ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টার জন্য খোলা রাখা হয়। তৃতীয় ধাপে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় হাসিনা-মনমোহন বৈঠকের দুই দিন পর ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনবিঘা করিডর গেট ২৪ ঘণ্টা খুলে দেওয়া হয়।

একই বছরের ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবিঘা করিডর গেট আনুষ্ঠানিকভাবে ২৪ ঘণ্টার জন্য খুলে দেন। এর মধ্য দিয়ে ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী ১৯৯২ সালের ২৬ জুন তিনবিঘা করিডর স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন লোকালয় 'দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা' ছিটমহলের প্রায় ২০ হাজার অধিবাসী নিজ দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে চলাচলের সুযোগ পান। ওই দিন বাংলাদেশকে তিনবিঘা করিডর চিরস্থায়ী লিজ দেওয়া হয়। তবে ভারতের বিজেপি ও ফরোয়ার্ড ব্লক ওই চুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে।

ওই সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে তিনবিঘায় আসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা এল কে আদভানি, সুষমা স্বরাজ, মনোমোহন রায়, সুব্রাহ্মনিয়াম স্বামী, মুরলি মনোহর যোশি প্রমুখ। চুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে নিহতদের নিজেদের দলের কর্মী দাবি করে ২০১৪ সালের ২৬ জুন প্রথম তিনবিঘায় সুধীর রায় চত্বরে 'শহীদ দিবস' পালন ও পার্শ্ববর্তী রানীরহাট বাজারে বিশাল জনসমাবেশ করে বিজেপি



(ওএস/এসসি/জুন২৬,২০১৫)