গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে চাঞ্চল্যকর আগুনে পুড়িয়ে মহিলা ও শিশুসহ চার হত্যার রহস্য উৎঘাটিত হয়েছে। অভিযুক্ত আজাদ মোল্লাকে গতকাল রোববার  দুপুরে পার্শ্ববর্তি নড়াগাতি থানার পুটিমারী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে এই হত্যা সে ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

এ ব্যাপারে নিহত হুরিয়া বেগমের ছেলে সাইফুল গাজি বাদী হয়ে আজাদ মোল্যাকে প্রধান আসামী এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতদের লাশ গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে তাকে আরেকদফা জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হবে। অন্যদিকে, আজাদকে গ্রেফতারের আগে পুলিশ যে ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
আসামী আজাদ পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, আমি একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছি। স্ত্রী শরীফা বেগম পরকিয়ায় জড়িত। ভালো করতে আমি অনেক চেষ্টা করেছি। সে ভালো হয়নি । শ্বাশুড়ি মেয়ের পক্ষ নেয়ায় তাদের সাথে কলহ সৃষ্টি হয়। এই কারনে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির উপর প্রতিশোধ নিতে ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, ঘরে যে ছোট ছোট বাচ্চারা ছিল এটা বুঝতে পারিনি।
(এমএইচএম/এএস/মে ১৯, ২০১৪)