স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ভারত-পাকিস্তান লড়াই উপমহাদেশের সমর্থকদের দু’ভাগ করে ফেলে। রোমাঞ্চকর এ লড়াইয়ে কখনো কখনো মাঠের বাইরেও আছড়ে পড়ে উত্তেজনার ঢেউ। ঠিক একইরকম অবস্থা অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও। আর সেটা যদি হয় অ্যাশেজ সিরিজ তাহলে তো কথাই নেই। দু’দলের কাছে অ্যাশেজ জেতা মানে রীতিমতো গর্বের, অহংকারের।

আর সেই গর্ব কে না করতে চায়? ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক বলে দিলেন, ২০১৫ অ্যাশেজ সিরিজ যদি তিনি জিততে পারেন সেটা হবে তার ক্যারিয়ারে সেরা অর্জন। ২০১৩ সালে তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড অ্যাশেজ জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতি সফরে তাকে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হয়েছিল। ইংল্যান্ডকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে রীতিমতো হোয়াইটওয়াশ করেছিল অসিরা।

এবারের অ্যাশেজে ইংলিশ এই দলের সামনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ইংল্যান্ডকে উঁচুতে তোলা কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার নেই, নেই তারকা ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেনও। বলা যায়, পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই দলটি। গত বছরের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার কাছে দুই টেস্টের সিরিজ হেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। এর জেরে বিশ্বকাপের ঠিক আগে নেতৃত্ব চলে যায় কুকের। কিন্তু নেতৃত্ব বদল হলেও বিশ্বকাপ ভাগ্য বদল হয়নি ইংল্যান্ডের। বাংলাদেশের কাছে হেরে তাদের বিদায় নিতে হয় গ্রুপপর্ব থেকেই।

এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে দুই টেস্টে সিরিজ ১-১ এ ড্র করে ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন কুক। শুক্রবার লর্ডসে তিনি কঠিন সেই দিনগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘শ্রীলংকার কাছে সিরিজ হারা এবং বিশেষ করে হেডিংলিতে চতুর্থ দিনে হেরে যাওয়া ছিল কঠিন মুহুর্ত। এবার যদি আমরা অ্যাশেজ জিততে পারি তাহলে সেটা হবে আমার জন্য স্বরণীয় এবং গর্ব করার মতো একটা ব্যাপার। আমাদের জেতার দারুণ সুযোগও রয়েছে। সবমিলে সিরিজটা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে।’

সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজ ইংল্যান্ডকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। ওয়ানডেতে ইয়ন মরগ্যানের দল ৪০০ প্লাস রান করার পাশাপাশি একটি ম্যাচে ৩৫০ প্লাস রান চেজ করে জিতেছে। ওয়ানডে অধিনায়ক মরগ্যান বলছেন, এটা অ্যাশেজে আত্মবিশ্বাস যোগাবে ইংল্যান্ডকে। ৮ জুলাই কার্ডিফে শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজ।

(ওএস/পি/জুন ২৭, ২০১৫)