গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রিকালে বার বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট নারী পাঁচারকারি নাজমা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত নাজমা পাবনার নগরবাড়ি সাথিহা গ্রামের মৃত আমীর আলীর মেয়ে। এছাড়া গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে অভিযান চালিয়ে চৌদ্দ বছরের অপর এক কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ ।
গোয়ালন্দঘাট থানাপুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে উদ্ধার হওয়া ওই কিশোরী নওগাঁ সদর থানার পঞ্চগড় গ্রামের এক রিক্সা চালকের মেয়ে। নাজমা বেগম নামে এক নারী পাঁচারকারি কাজ দেওয়ার কথা বলে নওগাঁ থেকে ওই মেয়েটিকে ফুসলিয়ে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে এনে বিক্রির চেষ্টা চালায়। এসময় বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মীরা ওই কিশোরী মেয়েটিকে উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট নাজমা বেগমকে আটক করে স্থানীয় থানাপুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যৌনকর্মী পারভিনের বাড়ি থেকে চৌদ্দ বছরের অপর এক কিশোরী কন্যাকে উদ্ধার করে। গত ১৫ মে আনোয়ার হোসেন নামে এক দালাল ঢাকার মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকা থেকে মেয়েটিকে ফুসলিয়ে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে নিয়ে আসে। পরে পল্লীর যৌনকর্মী পারভিনের কাছে মেয়েটিকে বিক্রি করে আনোয়ার পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গোয়ালন্দঘাট থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তবে দালাল আনোয়ার হোসেন ও যৌনকর্মী পারভিন এখনো পলাতক রয়েছে।
গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
(জিসিপি/এএস/মে ১৯, ২০১৪)