স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : আর মাত্র কিছু সময় এর পর ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা।

এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনালে খেলছে প্রোটিয়ারা। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে সেমিতে উঠে তৃতীয় স্থান নিয়ে খুশি থাকতে হয়েছিলো প্রোটিয়াদের। ভারতও এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার উঠলো সেমির মঞ্চে। এর আগে ২০০৭ সালে সেমি পেরিয়ে ফাইনালে উঠে শিরোপা-ই জিতে নিয়েছিলো তারা। এরপরের তিন আসরে ভারতকে ফিরতে হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বাদ নিয়েই।


শুক্রবারের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য থাকবে প্রথমবারের মতো ফাইনাল-যাত্রা। আইসিসির কোনো আসরে এখন চ্যাম্পিয়ন না হওয়া প্রোটিয়ারা ভারতকে তাই মরণকামড়ই দিবে। পক্ষান্তরে চেনা কন্ডিশনে প্রোটিয়াদের পদানত করে ভারতের সামনে থাকবে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের মিশন।


শুক্রবারের ম্যাচে ভারত যদি জিতেই যায়, তবে দারুণ এক রেকর্ডও হয়ে যাবে। তৃতীয়বারের মতো অল এশিয়ান ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০০৭ সালে ভারত-পাকিস্তান খেলেছিলো ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির ফাইনালে। পরের বার, ২০০৯ সালে ফাইনালের মঞ্চ আলোকিত করেছিলো পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। এবার তাই শ্রীলঙ্কার সাথে ভারতের ফাইনাল হলে এশিয়ান ক্রিকেটের দারুণ এক অর্জনই হবে।


দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে আছে দুদলই। চেনা কন্ডিশনে একের পর এক ম্যাচ জিতে ভারতই আছে এগিয়ে। খুব বেশি পিছিয়ে নেই প্রোটিয়ারাও। চাপের মুখে ভেঙে পড়ার পুরোনো ইতিহাস এবার তারা বদলেই দিয়েছে। একাধিক ম্যাচে চাপের মুখে পড়েও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।


ম্যাচটিতে আধিপত্য বিস্তারে এগিয়ে থাকবেন দুদলের স্পিনাররা। একদিকে থাকবেন অশ্বিন-অমিত মিশ্ররা, অপর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে স্পিন নেতৃত্ব থাকবে ইমরান তাহিরের হাতে। তার সাথে হাত ঘুরাবেন জেপি ডুমিনিও। মিরপুরের স্পিন সহায়ক উইকেটে দুদলের স্পিনাররাই ঘুরিয়ে দিতে পারেন ম্যাচের মোড়। এ ছাড়া দুদলের ব্যাটিং ঐশ্বর্যের প্রদর্শনী তো আছেই। শ্রীলঙ্কার ফাইনাল-সঙ্গী শেষ পর্যন্ত ভারত হবে নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, তা নিশ্চিত হওয়াটা এখন কেবল সময়ের ব্যপার।


(ওএস/পি/এপ্রিল ০৪,২০১৪)