নারী সেরা নাকি পুরুষ সেরা- এটা নিয়ে প্রায়ই তর্ক বিতর্ক করতে দেখা যায় অনেককেই। আর ইদানিং ফেসবুকের সুবাদে এই তর্ক বির্তকের পরিমাণ আরো বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরুষের এটা খারাপ-ওটা খারাপ বলতে যেমন দ্বিধা করছেন না নারীরা। ঠিক তেমনই পুরুষেরাও নারীদের ছোটখাটো ভুল ধরতে পিছিয়ে নেই মোটেও। তর্ক-বিতর্কে না গিয়ে এবার জেনে নেয়া যাক ঠিক কোন কোন বিষয় গুলোতে পুরুষেরা আসলেই নারীদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো, সেই ব্যাপারে। এই কাজগুলো যে নারীরাও করতে পারেন না তা নয়, তবে সাধারণত ছেলেরাই ভালোভাবে করে থাকেন।

১) প্রতিযোগিতা
পুরুষেরা সহজাতভাবেই প্রতিযোগিতা ভালোবাসে। সেটা খেলাধুলাই হোক, কর্মক্ষেত্রে হোক এমনকি প্রেমের ক্ষেত্রে হোক! খেলার নিয়ম তারা বেশি তোয়াক্কা করেন না, জেতাটাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ! তাদের এই মনোভাবের কারণে অনেক সময়ে তাদেরকে একগুঁয়ে এবং জেদি মনে হলেও আসলে এভাবে তারা জীবনে অনেক সফল হয়ে থাকেন।

২) পরিশ্রম
এটা আসলেই সত্য যে, ছেলেরা শারীরিক পরিশ্রম করতে পারে মেয়েদের চাইতে বেশি। পেশী এবং ফুসফুসের ক্ষমতা বেশি থাকার কারণে তারা অনেক বেশি সময় ধরে এবং অনেক বেশি মাত্রায় পরিশ্রম করতে পারে। এ কারণে সংসারে শারীরিক পরিশ্রমের কাজগুলো করে থাকেন ছেলেরা। কায়িক পরিশ্রমে পেশাগুলোতেও তারাই ভালো করেন।

৩) দূরদর্শিতা
পুরুষেরা হয়ে থাকেন দূরদর্শী। তারা নিকট ভবিষ্যতের চাইতে দূর ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাজ করে থাকেন। অনেক সময়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা এমন কিছু কাজ করে থাকেন যা বর্তমানে তেমন কোনো উপকারে আসে না, কিন্তু পরবর্তীতে সেই কাজের সুফল ভোগ করেন তিনি।

৪) বিজ্ঞান
পড়াশোনার ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও বিজ্ঞান বিশেষ করে পদার্থবিদ্যা, প্রযুক্তি এবং গণিত সংক্রান্ত গবেষণার দিক দিয়ে ছেলেরাই অগ্রসর। এসব ক্ষেত্রে গবেষণা, আবিষ্কার এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রে কাজে লাগে ছেলেদের মানসিকতা। এসব ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ কম হতে দেখা যায়।

৫) ঝুঁকি মোকাবেলা
ছেলেরা সাধারণত হয়ে থাকে মেয়েদের চাইতে বেশি বেপরোয়া স্বভাবের। তারা ঝুঁকি নিতে অভ্যস্ত থাকেন। এ কারণেই আবার তারা যে কোনো পরিস্থিতির মাঝে বিপদের গন্ধ টের পান। এই বিপদের মুখোমুখি হতেও তারা পারদর্শী।

(ওএস/অ/মে ১৯, ২০১৪)