স্টাফ রিপোর্টার : খালেদা জিয়াজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ সোমবার রিট আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন। আগামীকাল মঙ্গলবার আবার শুনানি হবে।

১২ মে ওই দুটি মামলায় বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

শুনানিতে রিট দায়েরের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেনমেন্ট অ্যাক্টের (১৯৫৮) সেকশন ৩ অনুসারে ওই মামলায় বিচারের জন্য যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন, তাঁর নিয়োগ নিয়ে নতুন করে অফিশিয়াল গেজেট হতে হবে। এ ক্ষেত্রে অফিশিয়াল গেজেট হয়নি। ফলে তাঁর নেওয়া কার্যক্রম আইনসম্মত নয়।

গত ১৯ মার্চ এই দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন। এই দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন গত ২৩ এপ্রিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলছিল। এই দুই মামলায় ২১ মে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

৭ মে আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় মামলা দুটির বিচারকাজ পরিচালিত হবে ঢাকার বকশিবাজারে সরকারি আলিয়া মাদ্রসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি করেন। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক খালেদা জিয়া, তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

(ওএস/এটি/মে ১৯, ২০১৪)