রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী এক প্রার্থী দ্বারা অপহরণ আতংকে দুইপ্রার্থী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, পূর্বচরপাতা গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেন (হাতি প্রতিক) ও কেরোয়া ইউনিয়নের তছলিম উদ্দিন পাটোয়ারী (রজনীগন্ধা প্রতিক)। এঘটনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে তোলপাড় চলছে।

সোমবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন জানান, তিনিসহ তছলিম পাটোয়ারী ও প্রভাবশালী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজাম উদ্দিন পাঠান আগামী ৪ জুন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে পৃথক তিনটি প্যানেলে নির্বাচন করছেন। আগামী ৪ জুন ২০৪ জন ভোটার তাদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে কমান্ডারসহ ১৭টি পদে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। কিন্তু নিজাম উদ্দিন পাঠান নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ইসমাইল ও তছলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র ও অপহরণের পর গুম করার হুমকী দেয়। নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য গত ১৪ মে রাত ১টার দিকে ৪-৫ জনের মুখোশপরা সন্ত্রাসী মটরসাইকেলযোগে ইসমাইলের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে। সেই রাতেই তছলিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে একই হুমকী দেয়।
দুই মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী জানান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তারা থানায় জিডি করে কয়েকদিন এলাকা থেকে সরে থাকার জন্য পরামর্শ দেন। সেই থেকে তছলিম ও ইসমাইল অপহরন আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও প্রার্থী নিজাম উদ্দিন পাঠান মোবাইল ফোনে জানান এঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। উল্টো তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্ধি দুই প্রার্থী মিথ্যা অপ-প্রচার চালাচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রির্টানিং অফিসার শারমীন আলম মোবাইল ফোনে জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার প্রার্থী ইসমাইল হোসেন তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। থানায় জিডি করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, এঘটনায় তিনি কিছুই জানেন না। মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীরা আইনের আশ্রয় চাইলে তাদের সহযোগীতা করা হবে।
(পিকেআর/এএস/মে ১৯, ২০১৪)