তীরের বয়ান

নিত্যভীড় ঠেলে নিজেকে মেলে ধরি তোমার অজান্তে।তুমি
ভূমি বিরোধের অবরোধে ফোটাও বসন্ত।

শান্তমন গোপন দূরাশা ভুলে বর্ষার ইটের বনে করে উচাটন।
বৃত্তবন্দি আশা ভরসার আয়োজনে বেরিয়েছি মনের দিগন্তে।
তুমিচোখ খোলো নিজের সীমান্তে।

খেলাপি মনের টানা বর্ষণের গল্প শেষে হিমঘরের কুয়াশা
নগর প্রেমের সংঘাতে তোলে ঢেউ অভিমানে।আর তুমি
মরুভূমির আগুন হও শান্ত।

মতামতে ব্রতে বসে হৃদয় মহুরী ।তুমি হৃদয়ের
আনমনা স্মৃতির মহিমা ফুলে ঢেকে দাও নগর অপ্সরী।

বীরের জোয়ান থেকে তীরের বয়ান শিখে নিই
লোকসানের চরম হতাশা প্রত্যাশা।আমি নৌজোয়ান সেজে
আষাঢ়ে আবেগে হই বেদনার সংক্রান্তি।



আষাঢ়ের ইন্দ্রজিত


শতব্যথার সাগরে তুমি ডুব দিলে অনাদরে।
ভালোলাগার অভাগা আবেগের রসি টেনে ধরে
স্মৃতির ওপারে আমি নিঃসঙ্গ এক প্রীতির অতীত।

বর্ষা এসে বলে ছলেবলে সর্বনাশা বৃষ্টি জালে
নিয়তির কলে রাখে উপমা প্রেক্ষিত মীথ।

মায়ার আদলে দোভাষীর ফলাফলে দস্যুমন
আপন জানার অকারণ খুঁজে হয় দিশেহারা।
বাহারি লতায় উড়ে আকুলতা স্বতন্ত্র কথারা
আমি বৃষ্টি ভিজে চির অবুঝে তোমার বিপরীত।

দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে রয়েছে দেখো রাতের পূর্ণিমা
তুমি আলো মাখো আমি ভরা আষাঢ়ের ইন্দ্রজিত।


(ওএস/এসসি/জুন৩০,২০১৫)