ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরে দক্ষিণ আদাখোলা মৃধা বাড়িরর সামনের আয়রন ব্রীজ সংস্কারে রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পাটা তৈরি করে ব্রীজে স্থাপন করেছে বলে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও কালামসহ একাধিক লোকজন অভিযোগ করে জানান, বড়ইয়া ইউনিয়নের আরুয়া, আদাখোলা ও ভাতকাঠি গ্রামের শত শত লোকজন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই আয়রন ব্রীজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করছে। পরবর্তীতে ব্রীজটি সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় স্থানীয় মেম্বর মোঃ হাসানকে। কিন্তু সে ওই স্থানে বসে পাটা তৈরি না করে নিজের বাড়িতে বসে ১০/১২ টি পাটার প্রত্যেকটির দুই কিনারায় চিকন একটি রড দিয়ে ভিতরে বাঁশের কঞ্চি ও বিভিন্ন গাছের ডাল দিয়ে তৈরি করে ব্রীজে স্থাপন করেছে। কিন্তু তা কয়েকদিনের মধ্যেই আড়াআড়িভাবে ভেঙ্গে যায় এবং বাঁশে কঞ্চি ও ও লাঠি টুকরো বেরিয়ে যায়। বর্তমানে পাটা ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রীজের প্রায় অর্ধেক অংশে পাটা নেই। এতে করে স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ৩ গ্রামের জনজনের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে।

এ বিষয়ে মেম্বর মোঃ হাসান পাটা তৈরিতে বাঁশের কঞ্চি ও লাঠি ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বরাদ্দ অনুযায়ী পাটা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়রা এবং প্রতিপক্ষরা পাটা ভেঙ্গে হয়রানি করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাদিকুর রহমান জানান, সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। জরিমানা স্বরুপ মেম্বর হাসানকেই নিজের টাকা দিয়ে পুনরায় সঠিকভাবে পাটাগুলো স্থাপন করতে নির্দেশ নেয়া হয়েছে।

(এএম/অ/জুলাই ০১, ২০১৫)