স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজে শুরুটা ভাল হল না বাংলাদেশের। টোয়েন্টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেছে স্বাগতিকরা। তাদের ৫২ রানে হারিয়েছে সফরকারীরা। এ জয়ে ২ ম্যাচ টোয়েন্টি২০ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ডু প্লেসিসের দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৫ রানে অ্যাবোটের বলে উইকেট রক্ষক ডি কোকের তালুবন্দী হন ওপেনার তামিম ইকবাল। সতীর্থের মতো জ্বলে উঠতে করতে পারেননি সৌম্য সরকার (৭)। তিনিও ক্যাচ আউট হয়েছেন। রাবাডার বলে ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপের পর থেকেই রান খরায় রয়েছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষেও হোম সিরিজেও হাসেনি তার ব্যাট। এই ম্যাচেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। স্বরূপে ফিরতে পারেননি তিনি। ডুমিনির বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হয়েছেন ‘রান মেশিন’খ্যাত এই ক্রিকেটার।

ঝড়ো ইনিংস খেলার জন্য সাব্বি রহমানের তুলনা নেই! কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পারেননি তিনিও। নিজের নামের পাশে ১ রান যোগ করেই ডুমিনির দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। তার আগে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন নাসির। ফাঙ্গিসোর বলে ক্যাচ আউট হয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশ উইকেট হারালেও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। তবে তাকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার সুযোগ দেননি বোলার ডেভিড ওয়েসে। ধীর গতিতে খেলতে থাকা সাকিবকে ক্যাচ আউট করেছেন ওয়েসে। আউট হওয়ার আগে ২৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ অবধি গুটিয়ে যাওয়ার আগে ৯৬ রান করতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকারীরা। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৯ রান করেছেন অধিনায়ক ডু প্লেসিস। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও নাসির হোসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোর: ১৪৮/৪, ওভার ২০ (প্লেসিস ৭৯*, রোসোউ ৩১*, ডুমিনি ১৮; আরাফাত ২/১৯)।

(ওএস/এএস/জুলাই ০৫, ২০১৫)