স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে পরপর দুটো সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল বাংলাদেশ দল। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও তেমন পারফর্মের প্রত্যাশা করেছিলেন টাইগার সমর্থকরা। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টি-২০ ম্যাচে সমর্থকদের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেনি টাইগাররা। ৫২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা তাদের দয়িত্বটা ঠিকভাবে পালন করতে পারেননি বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা ভালো করবে বলে আশাবাদী স্বাগতিক অধিনায়ক। সামনের ম্যাচগুলোতে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটসম্যানদের খেলার পরামর্শ দিয়েছেন টাইগার দলপতি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে দুটি টি-২০ ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই এবার মাশরাফি বাহিনীর সামনে ছিল ইতিহাস বদলানোর ম্যাচ। সে ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে মাত্র ১৪৮ রানে আটকে রেখেছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হয়নি টাইগারদের।

দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেয়া ১৪৮ রানের জবাবে প্রথম দুই ওভারের মধ্যে তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকারকে হারিয়ে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পরে আর এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভবপর হয়নি স্বাগতিকদের। টি-২০ ম্যাচে শেষে এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন ,‘ শুরুতেই আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটু সর্তক হয়ে খেলা দরকার ছিল। কিন্তু তারা সেটি পারেনি।’

আসলে পাওয়ার প্লে’র কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ দলও ঠিকমতো পরিকল্পনা করতেও ব্যর্থ হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘অবশ্যই আজকে রোববার) আমাদের জয়ের সুযোগ ছিল। ম্যাচে নেতিবাচক দিকও থাকে, ইতিবাচক দিকও থাকে। এর আগে যেগুলো জিতেছি তার মধ্যে নেতিবাচক দিকও ছিল। নেতিবাচক দিকগুলো ভালো মতো শিখে পরবর্তী ম্যাচে কাজে লাগানো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর ইতিবাচক দিকগুলো সবসময় আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ওটা সঙ্গে সব সময় থাকে।’

খুব দ্রুত দলের দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরেছেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু তাপরও সাব্বির ও নাসির দলের এমন বিপর্যয়ে শক্ত হাতে হাল ধরতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তারাও ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে আউট হয়েছেন। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সাব্বির ও নাসির যেভাবে ব্যাটিং করেছে। আসলে ওদের মাথায় চিন্তা ছিল যে রান রান রেট ৭-৮ কিংবা তার বেশি চলে গিয়েছে। নাসির যখন ব্যাটিংয়ে যায় তখন রান রেট সাড়ে আটের উপর চলে গিয়েছিল। খারাপ বলগুলো ওরা চাচ্ছিল যে বের করতে। হ্যা, একটু বেশি শটস খেলেছে তারা।’

প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে ব্যাটসম্যানরা পরবর্তী ম্যাচে শিক্ষা নিতে পারবে বলে মনে করছেন মাশরাফি। তাছাড়া আগের ম্যাচগুলোতে দল পজিটিভ ক্রিকেট খেলে জয় পাওয়া খেলার ধরনে পারিবর্তন আনতে চাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের শেষ সময়ে যে সকল সফলতা ছিল সেগুলো পজিটিভ খেলেই পেয়েছি। এজন্য খেলার ধরন পরিবর্তন করতে না চাওয়াটাই স্বাভাবিক। খেলার অবস্থা বুঝে খেলতে হবে এটা স্বাভাবিক। সামনে থেকে আমি আশা করবো এরকম পরিস্থিতিতে ব্যাটসম্যানরা একটু চিন্তা করে খেলবে।’

(ওএস/পি/জুলাই ০৫, ২০১৫)