স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : এক বছরের ব্যবধানে দুটি বড় বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালেও উঠেও হার, একবারেই মেনে নিতে পারছেন না আর্জেন্টাই কোচ জেরার্ডো মার্টিনো। ২২ বছরের শিরোপা খরা ঘোচানোর একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। নতুন ইতিহাস তৈরির হাতছানিও ছিল মেসিদের সামনে। কিন্তু অদম্য চিলির সামনে ট্রফি খরা কাটানোর সেই সুযোগ পুনরায় নষ্ট করলো আর্জেন্টিনা।

শিরোপা জয়ের খুব কাছে গিয়েও তা ছুঁয়ে দেখতে পারলেন না মেসিরা। তারকাবোঝাই টাইটানিক নিয়ে শেষ পর্যন্ত সান্তিয়াগোর এস্টাডিও ন্যাসিওনেলে ডুবে গেলো আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে আয়োজক চিলির কাছে এভাবে হেরে যাওয়াটা মোটেও মানতে পারছেন না আর্জেন্টিনা কোচ। এই পরাজয় তাঁর দলের প্রাপ্য নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।

সান্তিয়াগোর এস্টাডিও ন্যাসিওনেলে আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে হারিয়ে চিলি তাদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় কোনও শিরোপা জিতলো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা গোলশূন্যভাবে শেষ হয়। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনও দল গোল না পাওয়ায় ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।

মাঠের খেলায় আর্জেন্টিনাই এগিয়ে ছিল বলেই মনে করেন মার্টিনো। তিনি বলেন, ‘খুব উঁচু মানের একটি ম্যাচে ১২০ মিনিট খেলার চেয়ে দুই দল একে অপরকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে। আমি মনে করি, আর্জেন্টিনারই জেতা উচিত ছিল।’

গোলের অনেক সুযোগ নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সুযেগা তৈরী করেছিলাম। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। নিকোলাস ওতামেন্দি, লাভেজ্জি কিংবা হিগুয়াইনরা অনেক সুযোগ মিস করেছেন।’

হিগুয়াইনই আর্জেন্টিনার এই হারের জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী। ইনজুরি টাইমে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে পোস্টের ওপর দিয়ে বল মেরে আর্জেন্টিনাকেই যেন বাইরে পাঠিয়ে দিলেন তিনি। বিষয়টা উল্লেখ করে মার্টিনো বলেন, ‘তারা অনেকগুলো নিশ্চিত সুযোগ পেয়েছিল। এগুলোর একটি-দুটি কাজে লাগাতে পারলেও ম্যাচের চিত্র পাল্টে যেতো।’

(ওএস/পি/জুলাই ০৫, ২০১৫)